ফাইজার ভ্যাকসিনের লক্ষাধিক ডোজ আজ দেশে আসছে
ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ লাখ ৬২০ ডোজের চালান আজ রোববার দুপুরে দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক জানান, কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে আজ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে।
তবে, কারা এ ভ্যাকসিন পাবেন এবং কবে থেকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে এখনো এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ভ্যাকসিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম কোভ্যাক্সের আওতায় এ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এর আগে, গত ২৭ মে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) বাংলাদেশে ফাইজারের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ফলে দেশে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকলো না।
দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও চীণের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) জানিয়েছে, দুই ডোজের ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
ইতোপূর্বে মাইনাস ৯০- মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হতো। একারণে ভ্যাকসিনটির সংরক্ষণ পদ্ধতি বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ছিল।
ভ্যাকসিনটি আরও সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে, ২৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন এক মাস পর্যন্ত ভ্যাকসিনটি সাধারণ রেফ্রিজারেটর তাপমাত্রায় সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়।
মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ফাইজার ভারত সরকারকে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি ১২ বছর ও ততোর্ধ বয়সী যে কোনো ব্যক্তির জন্য উপযোগী। ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষ্ণ করা যায় বলেও জানানো হয়।