এ বছর দেশের ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাক খাতের আকার বাড়তে পারে ৪-৫ শতাংশ
২০২১ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাক ক্যাটাগরির আকার ৪-৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকাভিত্তিক ক্যাজুয়াল পোশাক রপ্তানিকারক উইন্ডি গ্রুপের পরিচালক শেখ ইসলাম শাহীনুল এ আশা প্রকাশ করেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এই খাতের বৃদ্ধি ১৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
ফাইবার২ফ্যাশন ডট কম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহীনুল জানান, কোভিডপূর্ব সময়ে ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাক খাতের আকার ৮-৯ শতাংশ হারে বাড়ছিল।
তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে বাংলাদেশে এ খাত বড় হচ্ছে। কারণগুলোর মধ্যে আছে- অল্প সময়ের মধ্যে কাপড় পাওয়া, দ্রুত পণ্য সরবরাহ, দ্রুত অর্ডার সামলানোর সক্ষমতা, পোশাকের ডিজাইনে নতুনত্ব এবং ওয়াশের সক্ষমতা।
২০২২ সালের মধ্যে ২০৫ মিলিয়ন পিস পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান উইন্ডি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি ওভেন ক্যাজুয়াল ও ফ্যাশন ক্যাটাগরির পোশাক উৎপাদন করে। উইন্ডি গ্রুপের মার্কেটিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং পরিচালক শাহীনুল বাংলাদেশের ওভেন খাতের আকার নিয়ে কথা বলেছেন ফ্যাশন২ফাইবার ডট কমের সঙ্গে। এছাড়াও আলাপ করেছেন খাতটির বৃদ্ধির পেছনের কারণ এবং তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাক ক্যাটাগরির আকার কেমন? এই খাতটি কেমন হারে বড় হচ্ছে?
শাহীনুল: বাংলাদেশের আরএমজি খাতে ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাকের বাজারের আকার ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। স্বাভাবিক অবস্থায় এই খাতটি ৮–৯ শতাংশ হারে বড় হচ্ছিল। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বৃদ্ধির হার এখন প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে। তবে ধীরে ধীরে তা আবার বাড়ছে। এ বছরে আমরা ৪–৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নিট ও ডেনিম খাতের তুলনায় ওভেন খাত কেমন অবস্থায় আছে?
শাহীনুল: বাংলাদেশে ওভেন পোশাকের ব্যবসা বাড়ছে। ওভেন পোশাক শিল্প সক্ষমতা বাড়াচ্ছে এবং নতুন কাপড়ের দিকে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে ওভেন ও নিট কাপড়ের ব্যবসার আকার প্রায় একই রকম আছে। কিন্তু আপনি যদি ওভেন আর ডেনিমের তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন মোট ওভেন ব্যবসার প্রায় ৭০ শতাংশই ডেনিমের দখলে এবং গত কয়েক বছর ধরে এ পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। আউটার ওয়্যারের পোশাকের ব্যবসাও এখন অনেক বাড়ছে।
প্রশ্ন: ওভেন ক্যাজুয়াল পোশাক খাতের আকার বড় হওয়া কোন বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করছে?
শাহীনুল: অল্প সময়ের মধ্যে কাপড় পাওয়া, দ্রুত চালান, অর্ডার সামলানোর সক্ষমতা, পোশাক ডিজাইনের নতুনত্ব, ওয়াশের সক্ষমতা।
প্রশ্ন: খাতটি এখন কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে?
শাহীনুল: মহামারি এবং তুলার উচ্চমূল্যের চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন: এই খাতের আকার বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোন কোন উদ্যোগ নেওয়া উচিত?
শাহীনুল: সরকারের উচিত টেক্সটাইল ও ট্রিমস খাতসহ সব শিল্পকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া। তুলার দাম নিয়ন্ত্রণে (কখন কীভাবে কিনতে হবে) এবং প্রযুক্তিগত, ডিজাইনার ও বিপণন ব্যবস্থা তৈরিতে ভালো নীতি প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা উচিত সরকারের।
- সূত্র: ফাইবার২ফ্যাশন.কম