প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে পরোয়ানায় উদ্বেগ সম্পাদক পরিষদের
প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
সোমবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “জামিন আদেশ দেওয়ায় মহামান্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুকে ঘিরে প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক এবং প্রথম আলোর অপর চার কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও তাদের বাসায় পুলিশি তল্লাশির ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
বিবৃতিতে তারা বলেন, “আমরা মনে করি, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে, মতিউর রহমান এবং অন্যদের জন্য যেখানে সমন জারি করাই যথেষ্ট ছিলো, সেখানে সে ঘটনায় তার ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা গণমাধ্যম তথা সংবাদকর্মীদের ভীতিপ্রদর্শন ও হয়রানির চেষ্টা স্পষ্ট সংকেত বহন করে- বিশেষত প্রথম আলোর প্রথিতযশা সম্পাদক যখন দুর্ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। আমরা শঙ্কা ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, অস্বাভাবিক দ্রুততায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেছে।”
“ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রভৃতিসহ মানহানির মামলার আইনগুলির ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে একটি নিবর্তনমূলক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও স্ব-আরোপিত নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়তে হচ্ছে। এসব তৎপরতা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে নতুন নেতিবাচক মাত্র যোগ করবে। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি, এ অবস্থায় স্বাধীনভাবে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত ভূমিকা পালন করা গণমাধ্যমের জন্য উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে পড়ছে।” জানায় সম্পাদক পরিষদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা মতিউর রহমান এবং অন্য সবার আইনানুগ পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করছি। তাদের সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, একই সঙ্গে তারও নিশ্চয়তা দাবি করছি।”