এখনই চালু হচ্ছে না বাংলাদেশ-কলকাতা ফ্লাইট
চলতি বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
চার মাস বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে ভারতে পুনরায় ফ্লাইট চালনা শুরুর কথা জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার ঢাকা-দিল্লি রুটে এবং রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট চলবে।
তবে দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন না হওয়াতে এখনই ফ্লাইট চালু হচ্ছে না।
বিমান বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, "রোববার থেকে আমরা দুটি রুটে ফ্লাইট চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাইনি। চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেলে আমরা নতুন তারিখ ঘোষণা করব"।
ভারতীয় এয়ারলাইনস স্পাইসজেট এবং ইন্ডিগোরও যেসব ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ার কথা ছিল তা এখন বাতিল করা হবে। স্পাইসজেটের ২৬ আগস্ট থেকে এবং ইন্ডিগোর তার পরদিন থেকেই ফ্লাইট শুরু করার কথা ছিল।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, এই ঘোষণার ফলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলো হতাশ হয়েছে। এসব হাসপাতালের রোগীদের একটা বড় বাংলাদেশ থেকে আগত; মহামারি ও লকডাউন নিষেধাজ্ঞার সময়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ৮-১০% হ্রাস পেয়েছে বলে জানানো হয়।
কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বলেন, "প্রথম দিককার ফ্লাইটগুলোতে আসবেন এমন অন্তত ২০ জন রোগীর এপয়েন্টমেন্ট নির্দিষ্ট করা ছিল। আমরা ভেবেছিলাম শীঘ্রই আবার আগের মত রোগীরা আসতে শুরু করবেন। ফ্লাইট চালুর তারিখ পেছানোয় এসব রোগী এবং আমাদের- উভয় পক্ষের ক্ষতিসাধন হলো; তারা হয়তো এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে চিকিৎসা সেবা খুঁজবেন"।
মহামারির আগে এই হাসপাতালের ১৫ শতাংশ রোগীই ছিল বাংলাদেশের; হাসপাতালের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৮-১০% এ তাদের ভূমিকা ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।