আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ‘আইএস-কে’র পরিকল্পনাকারী নিহত
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আইএসআইএল অধিভুক্ত একটি 'পরিকল্পনাকারী' দলের উপর মার্কিন বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ হামলার ঠিক এক দিন পরই মার্কিন বাহিনী এই হামলা চালালো।
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আমরা টার্গেটকে হত্যা করতে পেরেছি।"
এ হামলায় কোনো বেসামরিক মানুষ মারা যায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) আইএসআইএস অধিভুক্ত সহযোগী জঙ্গিগোষ্ঠী 'আইএস-কে' (আইএসআইএস-খোরাসান) কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এবং ব্যারন হোটেলে হামলা চালায়। সেই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা সহ মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে।
গত সপ্তাহেই কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন উদ্ধার অভিযান চলার সময় সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করে সতর্ক বার্তা জানানো হয় আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুকদের।
কাবুলের মার্কিন দূতাবাস আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকির কারণ দেখিয়ে 'তাৎক্ষণিকভাবে' হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথ থেকে চলে যেতে বলে। এমনকি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত তাদেরকে বিমানবন্দরে যাতায়াতও নিষেধ করে দেয়।
শুক্রবার পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে বিমানবন্দরে এখনও 'নির্দিষ্ট' এবং 'বিশ্বাসযোগ্য সম্ভাব্য' হুমকি রয়েছে।
এদিকে, আল জাজিরার সূত্র থেকে জানা গেছে, মার্কিন বাহিনীর উদ্ধার কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।
কয়েকটি বিমান কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে ইতোমধ্যেই। এছাড়া, গতকাল থেকে বিমানবন্দরের আশেপাশে মানুষের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে জানা গেছে।
- সূত্র- আল জাজিরা