ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির জন্য ৬৩ জন এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৪ জনসহ মোট ৬৭ শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে আরও ৯ জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জনসহ মোট ২২ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত ওই ২২ শিক্ষার্থীকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদেরকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
“জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গতবছরের ২৫ অক্টোবর একটি ঘটনায় ২জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচ.ডি. থিসিস জালিয়াতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলা হয়, তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।