আবারও টিকা রপ্তানি শুরুর চিন্তা করছে ভারত, প্রধানত আফ্রিকায়
শীঘ্রই আবারও কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। মূলত আফ্রিকাই ভারতের টিকা সরবরাহের মূল কেন্দ্রস্থল হতে চলেছে। দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের বড় অংশকে টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা ও সরবরাহ বাড়ার কারণে আবারও রপ্তানি শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভারতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিজ দেশে টিকাদান কর্মসূচি জোরালো করতে গত এপ্রিলে টিকা রপ্তানি করে দেয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনকারী দেশটি।
এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশটির সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকাদানের আওতায় আনতে চায় ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটির ৬১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক টিকা পেয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত নিয়ে গঠিত কোয়াডের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সেখানে টিকা নিয়েও আলোচনা হবে। এ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কিছুদিন আগেই ভারতের টিকা রপ্তানি পুনরায় শুরুর খবর এলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট ওই সূত্র রয়টার্সকে বলেন, "টিকা রপ্তানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। টিকা ও কোভিড কার্যক্রম মডেলে আফ্রিকাকে সাহায্য করতে চায় ভারত,"
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ডব্লিউএইচও মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সমতার ভিত্তিতে টিকা বন্টনের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সে পুনরায় টিকা সরবরাহ শুরু করার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের প্রতিনিয়ত আলোচনা চলছে।
ডব্লিউএইচওর সিনিয়র কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "এ বছরই আবার সরবরাহ শুরু হবে আশ্বস্ত করা হয়েছে আমাদের,"
রপ্তানি বন্ধের আগে প্রায় ১০০টি দেশে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রি করে ও অনুদান দেয় ভারত।
গত মাস থেকে ভারতে টিকাদানের গতি বাড়তে থাকে। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া মাসপ্রতি উৎপাদন বাড়িয়ে ১৫ কোটিতে উন্নীত করায় টিকাদান ত্বরান্বিত হয়।
গত জুন মাসে ভারতের সরকারি এক সূত্র রয়টার্সকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দেখিয়েছে জনগোষ্ঠীর বড় অংশের টিকাদানের পর টিকাদান কর্মসূচির গতি কমে আসে। এমন হলে ভারতও টিকা রপ্তানির সুযোগ পাবে।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৫৭০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দেওয়া হয়েছে পুরো আফ্রিকায়।
- সূত্র: রয়টার্স