রাতে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করছে হংকং
চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে করোনা ভাইরাস উপকূলীয় স্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় নতুন করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রেল সংযোগ এবং নৌ যান পারাপার বন্ধ করলেও তা যথেষ্ট নয়, বলে দাবি করছেন হংকংয়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা। তারা সড়কপথেও সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে প্রতিবাদ করছেন।
এদিকে, বিক্ষোভের পর আজ সোমবার রাতে চীনের সঙ্গে মূল সব সীমান্ত চেক পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হংকং সরকার। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তিনটি চেক পয়েন্ট খোলা রাখবে তারা।খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
হংকংয়ে হাসপাতাল সেবা কর্মীদের এই বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সম্পূর্ণরূপে স্থল সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হলে তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শকে অমান্য করা হবে।
তবে স্থানীয়দের উদ্যোগের কারণও একেবারে অমূলক নয়। ইতোমধ্যেই হংকংয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আন্দোলনে সমন্বয়ের লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্মীদের সদ্য গঠিত জোটের চেয়ারওম্যান উইনি ইয়ু স্থানীয় স্বাস্থ্যখাতের সীমিত সামর্থ্যের কথাও জানান।
উইনি বলেন, যদি সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না করা হয়, তাহলে ভাইরাস আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনো মহামারি মোকাবেলার জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট সরঞ্জাম এবং আক্রান্ত রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায় এমন বিশেষায়িত কক্ষ নেই।
স্বাস্থ্য সেবা দিতে যাদের উপস্থিতি একটু কম প্রয়োজনীয় সোমবারের বিক্ষোভে তারাই অংশ নিয়েছেন। তবে জোটের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে জরুরি সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং নার্সরাও বিক্ষোভে যোগ দেবেন।