৩০ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চলতি বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানোর কথা রয়েছে। তা পেলে চলতি মাসেই ওই বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে 'ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে চিকিৎসক কার্যক্রম' নিয়ে আয়োজিত 'জাতীয় কৃমি সপ্তাহ' কার্যক্রমের ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "আমাদের স্কুলশিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটির মতো। তাদের জন্য প্রায় তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমাদের হাতে ফাইজারের ভ্যাকসিন রয়েছে।"
"আমরা এখন অপেক্ষা করছি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য। আর নিবন্ধনটা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হবে। তাদের কাছে তালিকা আসলে তারাই সেটি দেখবে। নিবন্ধনটা সম্পন্ন হলেই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।"
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সেদিন জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, পর্যবেক্ষণ শেষে সারাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে পালিত হবে ২৫তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে ১ ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল ৫০০ মিগ্রা) ভরাপেটে সেবন করানো হবে।