৫-১১ বয়সিদের শরীরে ফাইজারের কোভিড টিকা ৯০.৭ শতাংশ কার্যকর
৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের ট্রায়ালে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে শুক্রবার দাবি করেছে সংস্থাটি। শিশুদের শরীরে এ টিকা প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে ফাইজার। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে এফডিএ।
এফডিএতে জমা দেওয়া ব্রিফিং ডকুমেন্টে ফাইজার জানায়, ট্রায়ালে অংশ নেওয়া যেসব শিশুকে প্লাসিবো দেওয়া হয়েছিল তাদের ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। আর যেসব শিশু টিকা নিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
ট্রায়ালে মোট ২ হাজার ২৬৮ শিশু অংশ নেয়। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্লাসিবো গ্রহণকারীর দ্বিগুণ সংখ্যক শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। করোনার উপসর্গ ছিল এমন শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর তাদের শরীরে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা দেখার জন্য ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের ওপর এ ট্রায়াল করা হয়নি। এ ট্রায়াল চালানো হয় টিকা দেওয়ার পর বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে কেমন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা জানার জন্য।
এ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ফাইজার-বায়োএনটেক গত মাসে জানিয়েছিল যে, তাদের করোনা টিকা শিশুদের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে পারছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে সাধারণত ৩০ মাইক্রোগ্রাম টিকা প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। শিশুদের শরীরে অবশ্য প্রয়োগ করা হয়েছে ১০ মাইক্রোগ্রাম টিকা।