বেনাপোলে আটকা সয়াবিন মিল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত
বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া সয়াবিন মিল আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি করা যাবে বলে অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের বাইরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২১ অক্টোবর থেকে বন্ধ হয়ে যায় সয়াবিন মিল রপ্তানি। এতে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে বেনাপোল বন্দরে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে আটকে পড়া সয়াবিন মিলের ট্রাক শর্তসাপেক্ষে ভারতে প্রবেশ শুরু হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় বন্দরে আটকে পড়া সয়াবিন মিলের গেট পাস করা ছিল। ফলে বিপত্তিতে পড়েন রপ্তানিকারকরা। এতে কিছুদিনের জন্য রপ্তানির সুযোগ চাওয়া হয়। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমলে নিয়ে নতুন করে নির্দেশনা জারি করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখার উপসচিব নাজনীন পারভিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটিসহ নানা কারণে ২১ অক্টোবরের মধ্যে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এলসি বা টিটির চালান যা ভারতে রপ্তানি হতে পারেনি ঐ সব চালানের অবশিষ্ট ট্রাক ভারতে প্রবেশ করাতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো। এমন ঘোষণায় পণ্য নিয়ে আটকে পড়া ট্রাকগুলো আবারও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সয়াবিন মিলের ট্রাক ভারতে রপ্তানি করা যাবে। এরপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আবারো জারি থাকবে। দ্রুত যাতে আটকে পড়া পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারে তার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।
জানা যায়, দেশে পোল্ট্রি শিল্পে সয়াবিন মিলের চাহিদা বছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। যার প্রায় অধিকাংশ আমদানি করা হয় চীন, অস্ট্রেলিয়াসহ বাইরের কয়েকটি দেশ থেকে। আর অতিরিক্ত মুনাফার আশায় এক শ্রেণির রপ্তানিকারকেরা পোল্ট্রি ফিড তৈরির প্রধান উপকরণ এই আমদানিকৃত সয়াবিন মিল রপ্তানি করছিল ভারত ও নেপালে। এতে দেশে পোল্ট্রি ফুড ও মুরগির মাংসের দাম বেড়ে যায়। ঊর্ধ্বগতি রুখতে ও বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশে পোল্ট্রি উদ্যোক্তাদের দাবির মুখে সরকার দেশের বাইরে সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধ করে।