জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও টিকা নেওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এখন থেকে তারাও কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এ কথা জানান।
'যারা এখনো টিকা নেননি, তাদের সবার জন্যই টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন থাকুক বা না থাকুক ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে', বলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখনো দেশে করোনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।'
'করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে, লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক দিন ধরেই সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। আমেরিকা দুই হাজার, রাশিয়া ১২ থেকে ১৩শ, ইউরোপে চার থেকে পাঁচশ ও ভারতে দুই থেকে তিনশ' জন প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন। আমাদের এখন টিকা নেয়ার পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই একদিন আমাদের দেশে করোনা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে', যোগ করেন তিনি।
এ সময় ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে বিরোধীতা করা। এই বিরোধীতাকারীদের কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
সারা দেশে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষজন একজন আরেকজনের সাথে কোলাকুলি করেন। এতে করোনা ঝুঁকি রয়ে যায় উল্লেখ করে ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ আমরা নই। আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা বিরোধীরা। এই বিরোধী শক্তি দুর্গাপূজার সময় তান্ডব চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছেন। তারা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন।'
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকরা।