ব্রিটনির ‘সেরা দিন’
অবসান ঘটেছে ১৩ বছরের দীর্ঘ কনজারভেটরশিপের। হ্যাঁ, আবারও আইনিভাবে ব্যক্তিগত জীবন এবং নিজের অর্থের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছেন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলসের সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক ব্রেন্ডা পেনি আধা ঘণ্টার এক শুনানি শেষে ব্রিটনির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সম্পদের ওপর থেকে কনজারভেটরশিপ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পক্ষে রায় দেন।
২০০৮ সালে এই পপ সংগীতশিল্পীর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় বাবা জেমি স্পিয়ার্স মেয়ের অভিভাবক হিসেবে নিযুক্ত হন। গত ১৩টি বছর জেমিই মেয়ে ব্রিটনির জীবন এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন।
কিন্তু ক্রমশ তার বিরুদ্ধে সম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠতে থাকে। ফলে, বাবার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পথ বেছে নেন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
তবে ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে মেয়ের ব্যক্তিগত কনজারভেটরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জেমি। সেই পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ পান কেয়ার প্রফেশনাল জোডি মন্টগোমেরি।
পরবর্তীতে গায়িকার কনজারভেটরশিপ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরেকটি শুনানির আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সংগ্রাম এবং বাবার সঙ্গে আইনি লড়াই, সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃক প্রকাশিত "ফ্রের্মিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স" নামে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশের পর আন্দোলন এবং আইনি মামলা, দুটিই আলোচনার শীর্ষে পৌঁছায়।
ব্রিটনির ভক্তদের নিকট হতে কয়েক মাসের চাপের পর, গত ১২ই আগস্ট জেমি স্পিয়ার্স মেয়ের বিষয়সম্পত্তির রক্ষকের (কনজারভেটর) পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবারের শুনানিতে ব্রিটনি নিজে উপস্থিত হতে পারেননি কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে উচ্ছ্বসিত ব্রিটনি লেখেন, "আমি আমার ভক্তদের পাগলের মতো ভালবাসি। আমার মনে হয় বাকি দিনটা আমি আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে কাটাবো। এটি আমার জীবনের সেরা দিন"।
শুনানি শেষে আদালতের বাইরে কয়েক ডজন ভক্ত কনফেত্তি উড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন; তারা ব্রিটনির 'স্ট্রংগার' গানের সাথে আদালত প্রাঙ্গণেই আনন্দ উদযাপন করতে থাকেন।