পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪,১৫০টি শিক্ষক পদ শূন্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার সংসদে বলেছেন, দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চার হাজার ১৫০টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৪১০টি শিক্ষকের পদ শূন্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৬টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৪টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় ৩১০টি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০৩টি শূন্য পদ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ২৪২টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৩টি, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩১, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৭টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৪টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৬টি শূন্য পদ রয়েছে।
৫০টিরও বেশি শূন্য পদে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী, দুই লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন ছেলে এবং এক লাখ চার হাজার ৫৯৯ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৭ এবং ২৩১ জন।
তবে ইউজিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।