'আমি কেমন করে জানব, কে টাকা পাচার করে?'- সংসদে অর্থমন্ত্রী
কারা বিদেশে টাকা পাচার করে, তা জানা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল শনিবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কাছে পাচারকারীদের তালিকা চেয়েছেন।
একটি বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী সাংসদেরা বিদেশে টাকা পাচার হওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর জবাব চান ও একটি ব্যাংক কমিশন গঠনেরও দাবি তোলেন।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অনেকভাবে বলেছেন দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের বলেছি, যারা পাচার করে, তাদের তালিকা আমাকে দেন।'
"আমি তো পাচার করি না। আমি বিশ্বাস করি, আপনারাও পাচার করেন না। সুতরাং পাচার কে করে, আমি জানব কেমন করে, যদি আপনারা জানেন আমাকে দেন।…আপনারা লিস্ট দেন পাচারকারীদের।"
তিনি যোগ করেন, 'একটা কথা আমি আবারও বলি, আপনারা, আমরা কিন্তু একই পথের পথিক। আপনি যেটা জানেন, আমিও সেটা জানি। বারবার আমি বলেছি, আমি জানি না। আমাকে জানান দেন।'
তিনি বলেন, 'একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হলো সে দেশের ব্যাংকিং খাত। সারাবিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থা সবাই কিন্তু বলছেন আমরা ভাল করছি। আপনার কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে যে আমরা তাদের চাইতে অর্থনৈতিকভাবে পেছনে আছি, তাহলে ইন দ্যাট কেস ইউ কাম টু মি, আই উইল গেট ইউ টু দ্য সল্যুশন।'
"অর্থনীতি এখন একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি ৩% কনট্রাকশন হয়েছে। কিন্তু এ দেশে এটি হয়নি। বলা হচ্ছে, ২০৩৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিমাণ হবে সারা বিশ্বে ২৫তম। "
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা যেভাবে বলেন, মনে হয় যেন দেশে কোনো অর্থনীতি নাই, দেশে কোনো ব্যাংকিং খাত নাই, দেশে কিছুই নাই।'
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, 'ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে, গ্রাহক বেড়েছে, আমানত বেড়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশসৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে কম এখন।'
পরিসংখ্যান প্রদান করে তিনি বলেন, '২০০৮ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩.১৫%। আর এখন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১,১৫০ কোটি টাকা, এটা ৮.১২%, সবচেয়ে নিম্নে আছে।'
'প্রত্যেকটা ব্যাংক লাভে আছে। ঋণ নিয়ে যারা অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা–মোকদ্দমা করা হয়। ই–কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলার সংখ্যা ২.৪৩ লাখ।'