করোনার হানায় স্থগিত রোনালদোদের ম্যাচ
করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থবির হয়ে পড়েছিল গোটা দুনিয়া। মহামারী এই ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে দীর্ঘ সময় পর স্বাভাবিক হচ্ছিল সব, মাঠে ফিরেছিল খেলাধুলা। কিন্তু করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আগমনে আবারও গোটা বিশ্বে আতঙ্কের ছায়া। ইংল্যান্ডে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর প্রভাব পড়ল ফুটবল মাঠেও। করোনার প্রকোপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-ব্রেন্টফোর্ডের মধ্যকার বুধবারের ম্যাচটি স্থগিত করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।
ইউনাইটেডের মূল দলে করোনা শনাক্ত হওয়ায় এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো। মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত দেড়টায় ব্রেন্টফোর্ডের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল রেড ডেভিলদের।
নরউইচের বিপক্ষে ম্যাচের পর ১১ ডিসেম্বরের করোনা পরীক্ষায় ইউনাইটেডের সব সদস্যদের ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু পরের দিনের পরীক্ষায় তাদের কয়েক জন খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফ করোনা পজিটিভ হন। করোনার বিস্তার রোধে ইউনাইটেডের ট্রেনিং কমপ্লেক্স ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে সোমবার কথা বলে ইউনাইটেড-ব্রেন্টফোর্ডের মধ্যকার ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লিগ কর্তৃপক্ষ।
লিগ কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, 'খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের সুরক্ষা সব সময় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের বাড়তি হার লক্ষ্যে করে প্রিমিয়ার লিগ আবারও ইমার্জেন্সি প্রক্রিয়া চালু করেছে। ঘন ঘন পরীক্ষা, ইন্ডোরে থাকলেও মুখ-নাক ঢেকে রাখা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসা করাসহ নিয়মগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।'
করোনার প্রকোপে প্রিমিয়ার লিগের আরও কিছু ম্যাচ এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। টটেনহ্যাম হটস্পারও করোনায় জেরবার। তাদের বার্নলে এবং ব্রাইটন ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। চেলসি-ব্রাইটনের মধ্যকার ম্যাচও স্থগিত হয়েছে। এই ম্যাচগুলো সুবিধামতো সময়ে আয়োজন করবে লিগ কর্তৃপক্ষ।
গত সাত দিনে প্রিমিয়ার লিগে নতুন করে ৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত জানুয়ারির পর এই প্রথম এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা চল্লিশ ছাড়িয়ে গেল। গত ৬ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে করা মোট তিন হাজার ৮০৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এটা।