বার্ন ইউনিটে আসা কোনো রোগীই শঙ্কামুক্ত নয়: ডা. সামন্ত লাল
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ যাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধ ১৫ জন রোগী এখন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের অধিকাংশেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাই প্রত্যেক রোগীই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এছাড়া বার্নের রোগী হাসপাতাল ছাড়ার আগে শঙ্কামুক্ত বলার উপায় নেই।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের ৭ জন চিকিৎসকের টিম গতকাল বরিশাল মেডিকেলে গেছেন। তারা সবাই অনেক দক্ষ, তারা রোগীদের দেখছেন। আগামীকাল আমরা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রিটমেন্টের বিষয়ে তাদের পরবর্তী নির্দেশনা দিবো। যদি কোনো রোগীকে ঢাকায় আনার প্রয়োজন হয়, আমরা নিয়ে আসবো। তবে আমাদের এখানে হেলিকপ্টার সুবিধা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বার্নের রোগীকে ঢাকায় আনা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওখানে রেখেই উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।"
ডা. সামন্ত লাল মনে করেন, যতদিন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে সচেতনতা না আসবে ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ঘটনা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ২১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে এবং ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।
এছাড়া, হাসপাতালে ভর্তি ১৬ জন রোগীর মধ্যে একজনের কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৫ জনের মধ্যে ২ জনকে বর্তমানে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের মধ্যে ১২ জনকে পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে এবং একজনকে পিএইচডিউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।