ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামি এখন পাকিস্তানিও
আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে যাচ্ছেন ড্যারেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিচ্ছে পাকিস্তান। শুধু নাগরিকত্বই নয়, দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান নিশান-ই পাকিস্তানও দেওয়া হবে স্যামিকে। উইন্ডিজ অলরাউন্ডারকে আগামী ২৩ মার্চ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভী এই সম্মাননায় ভূষিত করবেন।
পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার আগে কেউ জিজ্ঞাস করলেই ড্যারিন স্যামি বলে দিতেন, 'যেতে পারো, পাকিস্তান নিরাপদ।' ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে নিজ দেশেই নির্বাসিত থাকা দেশটিতে ক্রিকেট খেলতে যেতে সবার আগে রাজি হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার। সেটারই পুরস্কার হিসেবে এমন সম্মান পেলেন স্যামি।
এ জন্য অবশ্য আবেদন করতে হয়েছিল তাকে। কদিন আগেই নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেন স্যামি। এর কদিন পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে আসতে রাজি হওয়া প্রথম বিদেশি সুপারস্টারদের একজন স্যামিকে ২৩ মার্চ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার ও সম্মানসূচক নারগরিকত্বে ভূষিত করবেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভী।
এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত স্যামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, 'এই বেসামরিক পুরষ্কার পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত। আমরা ২০১৭ সালে সঠিক পথে ছোট্ট একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, যা আজ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। সমস্ত বিদেশি খেলোয়াড়রা তাদের ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের প্রতি এই ভালোবাসা দেখানোর জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ। আমরা শুধু ঘরের মাঠে তোমাদের খেলতে দেখতে চাই।'
পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন স্যামি। স্যামির পরামর্শেই পাকিস্তানে গেছেন বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তিনি বলেছিলেন, 'স্যামি আমার ভালো বন্ধু। আমি তার সাথে কথা বলেছি এবং সে বলেছে সফরে যাওয়ার মতো ভালো জায়গা পাকিস্তান।'
২০১৭ সালের পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল লাহোরে অনুষ্ঠিত হয়। সেবার পাকিস্তানে যেতে অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারদের বুঝিয়েছিলেন স্যামি। এরপর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব একাদশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার তিনটি টি-টোয়েন্টিতে সবার আগে বিশ্ব একাদশে নাম লেখান তিনি। পিএসএলের দল পেশোয়ার জালমির হয়ে ২০১৬ সাল থেকে খেলে আসছেন স্যামি।