উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে আবারো অগ্নিকাণ্ড, ১২০০ ঘর পুড়ে ছাই
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর শফিউল্লাহ কাটার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে আগুন লাগার পর প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিবিরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে তার আগেই পুড়ে গেছে প্রায় ১২০০ ঘর।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার মো. সিহাব কায়সার খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা এলাকার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বি-ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
শিবিরে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানান, "বি-ব্লকের মোহাম্মদ আলীর ঘর হতে গ্যাসের চুলার মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে আগুন ক্যাম্পের ব্লক-বি ও ব্লক-সি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গেই ৮ এপিবিএন এর অফিসার ফোর্স এবং ফায়ার সার্ভিস এর মিলিত প্রচেষ্টায় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে, হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় ১২০০ ঘর পুড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।"
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল বশর জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, এপিবিএন সদস্য ও স্থানীয়রা প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ ঘর পুড়ে গেছে।
ক্যাম্পে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ এর (এপিবিএন) পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, "আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা একযোগে কাজ করেছি। হতাহতের খবর এখনো আমাদের জানা নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়েছে, এবার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।"
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত, উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬টি কেবিন পুড়ে যায়।
এরও আগে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে লাগা আগুনে মৃত্যু হয় ডজনাধিক রোহিঙ্গার। পুড়ে যায় ১০ হাজারের অধিক ঘর।