শুরুর আগে বিপিএলে করোনার ছোবল
কদিন আগে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, করোনাকালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না তারা। যে কারণে অনেক আয়োজনই ঠিকভাবে এগোয়নি। বিপিএলের দর্শক না রাখার পরিকল্পনাও চলছে। এমন সময়ে এসে করোনা থাবা বসিয়েছে বিপিএলে।
আগামী ২১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে জমজমাট আসরটির। এর দুদিন আগে জানা গেল, বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডান্ডকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।
এবার বিপিএলে ৬টি দল অংশ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো দলই জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেনি। ১৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে ধাপে ধাপে দলগুলোর জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করার কথা। এর আগেই করোনার হানায় বিপাকে কয়েকটি দল। আয়োজন নিয়েও শঙ্কা জেগেছে।
জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ না করেই দলগুলো মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলন শুরু করে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে অনুশীলন করে আসছে দলগুলো। বিদেশি কোচ, ক্রিকেটারররা এসে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন, কোনো দলই কোয়ারেন্টিন নীতি মানেনি।
যদিও জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেই সব দলকে বিপিএলের অংশগ্রহণ করতে হবে। সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের আগে সোমবার বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলে কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের করোনা পজিটিভ এসেছে। কারা বা কতোজন আক্রান্ত হয়েছেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা ক্রিকেটার ও বিপিএল সংশ্লিষ্টদের করোনা পরীক্ষা শুরু করেছি। অনেকেরই পরীক্ষা হয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কয়েকজন ছাড়া সবার পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বা নাম প্রকাশ করছি না আমরা।'
মেডিকেল বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে করা করোনা পরীক্ষার ফল হাতে পাচ্ছে তারা। এর মধ্য থেকে কয়েকজন আক্রান্ত। বাকি পরীক্ষার ফল হাতে পেলে বা সবার করোনা পরীক্ষা করা হলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।