ভ্যাকসিন না নিলেও করোনার ওষুধ তৈরির সংস্থায় ৮০ শতাংশ মালিকানায় জোকোভিচ!
বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনবিরোধীদের এক নম্বর রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। করোনার ভ্যাকসিন না নেওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থান তার। তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার অনুমতিও পাননি তিনি। ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাকে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই জোকোভিচই নাকি করোনার ওষুধ তৈরির সঙ্গে যুক্ত। করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত ডেনমার্কের বায়োটেক ফার্ম কোয়ান্টবায়োরেসের সিইও স্বয়ং দাবি করেছেন এমনটি। জানিয়েছেন, তাদের সংস্থায় নাকি জোকোভিচের পুরো ৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সিইও ইভান লনকারেভিচ বলেছেন, টেনিস বিশ্বের বর্তমান নাম্বার ওয়ান জোকোভিচ ২০২০ সালের জুন মাসে বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের ফার্মে। কিন্তু জোকোভিচের বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ঠিক কতটা ছিল, তা অবশ্য খোলাসা করেননি ইভান।
কোয়ান্টবায়োরেসের ১১ জন বিজ্ঞানী করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছেন ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও স্লোভেনিয়াতে। তবে ইভানের ভাষ্যমতে, তারা ভ্যাকসিন নয়, বরং কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও তাকে কীভাবে সারিয়ে তোলা যাবে, সেটিকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
কোম্পানিটি একটি পেপটাইড তৈরি করছে, যা মানবশরীরের কোষকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আটকাবে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রায়ালও তারা চালিয়ে ফেলেছেন। আগামী গ্রীষ্মে ব্রিটেনেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
স্বভাবতই নতুন এই খবর চাউর হওয়ার পর গণমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে জোকোভিচ শিবিরে। কিন্তু এখন অবধি জোকোভিচ বা তার মুখপাত্র এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলেই নিজ দেশ সার্বিয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া 'জোকার' জানিয়েছেন, আপাতত কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশে ফেরার পর এরই মধ্যে এক নতুন দুঃসংবাদও পেয়েছেন জোকোভিচ। ফরাসি সরকার এক নতুন ভ্যাকসিন আইন পাস করার পর ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন না নিলে মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ফ্রেঞ্চ ওপেনেও রোলাঁ গারোর কোর্টে নামা হবে না গেলবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান