কফির বদলে মাশরাফিকে ‘হাই’ জানালেন ডমিঙ্গো
গত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ওয়ানডে দলে ছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়া ওটাই মাশরাফির ক্যারিয়ারের প্রথম ঘটনা ছিল। মাশরাফির সঙ্গে আলোচনা করেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। যদিও মাশরাফি জানান, তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথাই হয়নি প্রধান নির্বাচকের।
টিম ম্যানেজমন্টের কেউই নন, এমনকি প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও এ নিয়ে মাশরাফির সঙ্গে কথা বলেননি। এর আগেই বাংলাদেশের ওয়ানডের সফলতম অধিনায়ককে কফি পানের দাওয়াত দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো, মাশরাফি নিজেই জানিয়েছিলেন তা। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও মাশরাফির সঙ্গে কফি আড্ডায় বসা হয়নি প্রোটিয়া এই কোচের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সেটা মনে করিয়ে দিতে মাশরাফিকে 'হাই' জানিয়েছেন ডমিঙ্গো।
ডমিঙ্গোর সঙ্গে কফি আড্ডা নিয়ে মাশরাফি বলেছিলেন, 'রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে আমার এ বিষয়ে (দলে থাকা না থাকা) কথা হয়নি সম্প্রতি। ডমিঙ্গো আমাকে এক কাপ কফির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল। আমি এখনও তার প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি আমাকে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন পাকিস্তান সিরিজের আগে।'
মাশরাফি প্রসঙ্গে এর আগে ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, দলের বাইরের কাউকে নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। এবারও একই কথা বলেছেন প্রধান কোচ। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ডমিঙ্গো বলেন, 'প্রথমত, সে (মাশরাফি) কি অবসর নিয়েছে? সত্যি কথা বলতে, আবারও বলছি, এই মুহূর্তে স্কোয়াডে যে ক্রিকেটাররা নেই, তাদের নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। যেমনটি বলেছি, বাইরের আলোচনা, লোকে কী বলে, কী লেখে, আমার জীবনে তা গুরুত্বপূর্ণ নয় স্যার। আমার ফোকাস আমার দলে, আমার পরিবারে, আমার দায়িত্বে, অন্য বেশি কিছুতে নয়।'
দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকলেও মাশরাফির সঙ্গে কফি পান করার বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে যেতে পারলেন না ডমিঙ্গো। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ শেষে জায়গা ছাড়ার সময় নিজেই বিষয়টি তুলে প্রশ্ন করা সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'মাশরাফিকে আমার পক্ষ থেকে হাই জানিও।'
২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা মাশরাফি ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানান। শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের টসের সময় আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর থেকে শুধু ওয়ানডে খেলে আসছিলেন তিনি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দল ও নিজের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর তার বিদায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২০ সালের মার্চে গিয়ে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়েন মাশরাফি। ওই সিরিজের পর দেশের হয়ে আর খেলা হয়নি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের।