সাংবাদিকদের লেখা বোঝেন না ডমিঙ্গো!
মানুষ কী বলছে, সাংবাদমাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে; এসব গোনাতেই ধরেন না রাসেল ডমিঙ্গো। জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের কাছে এসব একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, বেশিরভাগ সময়ে সাংবাদিকদের লেখা নাকি তিনি বোঝেনই না! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নিজের মেয়াদ পূর্ণ করার প্রশ্নে এমনই জানিয়েছেন ডমিঙ্গো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্সের পর ডমিঙ্গোর ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে তাকে আগামী দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পর্যন্ত রাখার পরিকল্পনা বিসিবির। যদিও প্রোটিয়া এই কোচের সঙ্গে আগামী বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি আছে। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্ন শুনে যেন কিছুটা মেজাজই হারালেন তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন দলের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি নিজের কোচিং, দলে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন শুনতে হয় ডমিঙ্গোকে। চুক্তির মেয়ার পূর্ণ করার ব্যাপারে কতোটা আশাবাদী, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এটা বিসিবিকে জিজ্ঞেস করতে হবে স্যার। আমি আত্মবিশ্বাসী না হলে একটি আন্তর্জাতিক দলকে কোচিং করাতাম না। আমি অভদ্র হতে চাই না, কিন্তু সত্যি বলতে, মানুষ আর মিডিয়া যা বলছে, আমার কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
'আপনাদের কাজ আপনারা করবেন, আমাকে নিয়ে যা চান লিখবেন, ক্রিকেটারদের নিয়ে যা চান লিখবেন। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সেসব আলোচনা থেকে ছেলেদের দূর রাখা। আমি এসব আলোচনায় প্রভাবিত হয়ে পড়লে আশা করতে পারি না যে আমার ছেলেরাও প্রভাবিত হবে না। আপনাদের যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। অভদ্র (রুড) হতে চাই না, কিন্তু সত্যি বলতে বেশি ভাগ সময় আমি বুঝতেই পারি না আপনারা কী লিখছেন। এসব তাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
টিম ডিরেক্টর, হেড কোচ ও ব্যাটিং কোচের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা জানতে চাওয়া হয় ডমিঙ্গোর কাছে। উল্টো প্রশ্নে তিনি বলে, 'আপনিই বলুন, জেমির দায়িত্ব কী?' প্রশ্নকারী সাংবাদিক জানান, ব্যাটিং কোচ। ডমিঙ্গো বলে ওঠেন, 'এই তো। এটাই তার দায়িত্ব।'
এরপর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও নিজের ভূমিকা ব্যাখায় ডমিঙ্গো বলেন, 'আমি যতটা বুঝি, টিম ডিরেক্টর হলো আমার সঙ্গে বোর্ড সদস্যদের মধ্যে লিংক। যা হচ্ছে, সেসব নিয়ে যোগাযোগ করা, দল নির্বাচন এসব নিয়ে যোগাযোগ রাখা। লাইন আপ কেমন হচ্ছে, টস জিতলে কী, এসব নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে না আমাকে। এসবে ফোকাস করতেও চাই না। চাচাকে পাওয়া তাই দারুণ। সে এসব তথ্য তাদেরকে জানাতে পারে। ওসব চাপ আমার থেকে নিয়ে নিচ্ছে সে।'