‘আমাদের স্পিন বিশ্বের এক নম্বর, তাই পেস উইকেট বানিয়েছে বাংলাদেশ’
রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান, মোহাম্মদ নবীদের নিয়ে আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ। এমন স্পিন আক্রমণ যেকোনো দলের জন্য চিন্তার কারণ। দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজের দৃষ্টিতে অবশ্য তাদের স্পিন বিভাগ বিশ্বের এক নম্বর। বাংলাদেশ এটা জানে বলেই পেস সহায়ক উইকেট বানিয়েছে; এমনই দাবি রহমানউল্লাহর।
প্রথম ওয়ানডেতে হারতে হারতে জেতা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দাপুটে ব্যাটিং করে। লিটন কুমার দাসের ১৩৬ ও মুশফিকুর রহিমের ৮৬ রানে ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে তামিম ইকবালের দল। রশিদ খান ও মুজিবের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেন তারা। এই দুই স্পিনারের করা ২০ ওভার থেকে ১০৩ রান তোলে বাংলাদেশ, উইকেট হারায় একটি।
বিশ্বমানের এই দুই স্পিনারকে কতোটা ভালোভাবে সামলেছে বাংলাদেশ, সেটা সংখ্যাই বলে দিচ্ছে। এটা পেস সহায়ক উইকেট তৈরি করার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন রহমানউল্লাহ। বাংলাদেশে স্পিন বান্ধব উইকেট অবশ্য আশাও করেননি আফগান ওপেনার, পেস সহায়ক উইকেট হবে বলেই ধারণা ছিলো তাদের। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ভালো করা যায়নি বলে জানান আফগান এই ক্রিকেটার।
রহমানউল্লাহ বলেন, 'তারা (বাংলাদেশ) জানতো যে আমাদের স্পিন আক্রমণ বিশ্বের এক নম্বর। এ কারণেই তারা পেসারদের সুবিধাসম্পন্ন উইকেট বানিয়েছে। এটা বাংলাদেশের হোম সিরিজ, আমরা আশা করিনি যে আমাদের জন্য তারা স্পিন সহায়ক উইকেট বানাবে। প্রধান বিষয় হচ্ছে আমাদের ব্যাটিং বিভাগ ভালো করতে পারেনি। আশা করি পরের ম্যাচে ভালো করব। অবশ্য পেস বা স্পিনের ব্যাপার নয়, আমাদের আরও কিছু সময় ব্যাটিং করা দরকার ছিল।'
৩০৬ রানের লক্ষ্যে ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান, হারতে হয় ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে। এর আগে বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। ৩৩ রান অতিরিক্ত দেয় আফগানরা। এটাকে চিন্তার কারণ বলছেন রহমানউল্লাহ, 'ওয়ানডেতে অতিরিক্ত ৩৩ রান দেওয়া বাড়াবাড়ি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি, আগামী ম্যাচে একই ভুল করা ঠিক হবে না। পরবর্তী ম্যাচে ভালো করব আমরা।'