ভর্তুকির বিল বাড়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণ ৩৩ শতাংশ বাড়বে
ভর্তুকি ও ঋণ সার্ভিসিং এর স্ফীত চাহিদা মেটাতে আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) সরকারকে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি ঋণ নিতে হবে।
আসন্ন অর্থবছরে এর পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। এই প্রাক্কলনের ফলে আবারও বেসরকারি খাতের জন্য উপলদ্ধ ঋণ সরবরাহ কমে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্য ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এরমধ্যেই চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও সারের মতো খাতে বেড়েছে ভর্তুকির বিল। জুলাই থেকে শুরু হতে চলা নতুন অর্থবছরে তা আরও বাড়বে বলেই বোঝা যাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি দিয়েও বাড়তি এ ব্যয়ের চাপ কমানো যাবে না, ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ব্যাংকিং খাত থেকেই ঋণ নিতে হবে।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ১,০১,৮১৮ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৮.৬০% বেশি।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে ৭৬,৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ১৫% প্রবৃদ্ধি হলেও সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা মেটাতে সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ৮৭,২৮৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।
গত রবিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির চলতি অর্থবছরের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাকে খুবই 'অস্বাভাবিক' বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, "ব্যাংকখাত থেকে সরকারের এত বেশি ঋণ নেওয়া ঠিক হবে না।" মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিতে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে পরামর্শ দেন তিনি।
তখন অর্থসচিব বলেন, আগামী জুন মাসে সরকার যেসব চেক ইস্যু করবে, সেগুলো জুলাই-আগস্টে ক্যাশ হবে। ওই সময় সরকারের একাউন্টে ব্যালেন্স ঋণাত্মক থাকে। তাই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই তা পরিশোধ করতে হবে।
এবিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানেই ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের মুখে রয়েছে, এরমধ্যেই কলমানি রেট বেড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এই বাস্তবতায় সরকারের বিপুল ঋণ চাহিদা মেটাতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
"ঋণ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়ার প্রথা সেরকম নেই, তাছাড়া এটি ভালোও নয়। জিম্বাবুয়ে এ কাজ করেছে, শ্রীলঙ্কার সরকারও করেছে"- উদাহরণ দিয়ে জানান তিনি।
ব্যাংক থেকে আরও ঋণ কেন নিতে হবে?
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত ৬,৭৭,৮৬৪ কোটি টাকার বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ২,৪৪,৮৬৪ কোটি টাকা। বাকি ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
নতুন অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ১২.২৯% বাড়লেও মোট বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ১৪.০৬%। অর্থাৎ, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, রাজস্ব আয় তার তুলনায় কম বাড়ায়, বাজেট ঘাটতি বাড়ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যাপক বিভাগের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সরকার যতদিন প্রত্যক্ষ আয়কর থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে না পারবে এবং মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) উপর নির্ভর করবে, ততোদিন সরকারের বাজেট ঘাটতিও বাড়বে।
"আর এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার সবচেয়ে সহজ পন্থাটি বেছে নিচ্ছে, তা হলো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যদি তা বেতন-ভাতা বা সুদ পরিশোধের মতো খাতে ব্যয় করা হয়, তাহলে খুবই উদ্বেগজনক হবে"- জানান তিনি।
বাজেট ঘাটতি বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারের ব্যয় সে তুলনায় বাড়েনি। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আয় না বাড়লেও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, ঋণের কিস্তি ও ভর্তুকি ব্যয় বাড়ার কারণে ঘাটতি অর্থায়ন বাড়ছে।
আগামী অর্থবছর বেতন-ভাতায় ৭৬,৪১২ কোটি, সুদ পরিশোধে ৮০,২৭৫ কোটি এবং ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণে ৮২,৭৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই তিনখাতে মোট ব্যয় হবে ২,৩৯,৪৩২ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৩৫.৩২%।
২০১৯-২০ অর্থবছরে কোভিড সংক্রমণে রোধে ঘোষিত লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে, দেশের ইতিহাসে রাজস্ব আদায় প্রথমবারের মতো ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। তখন বেতন-ভাতাসহ সরকারের নিয়মিত ব্যয় মেটাতে ৭৯,২৬৮ কোটি ঋণ নিতে হয়, টাকা ব্যাংকঋণ করতে হয়, যা ছিল জিডিপির ২.৮০%। অবশ্য পরের বছর এ হার কমে ০.৯০% এ নামে।
এক দশক ধরে সরকারের ঋণ ব্যাংক নির্ভরতা কমে আসছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে মাত্র ৫১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, এর এক বছর পর সরকারের ব্যাংক ঋণ ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। ওই বছর ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের চেয়ে ৮,৩৮৯ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করে সরকার।
২০১৭-১৮ অর্থবছর ব্যাংক থেকে প্রথমবারের মতো জিডিপির ১% এর বেশি ঋণ নেয় সরকার, যার পরিমাণ ছিল ২৯,৪৭৯ কোটি টাকা।
উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্রে বিপুল বিনিয়োগের কারণে ওই সময় সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা একদমই কমে গেলেও সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছিল। পরে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। কিন্তু কম সুদের বিদেশি ঋণ খরচের সক্ষমতা না থাকায় সরকারের ব্যাংকঋণ নির্ভরতা বাড়তে থাকে।
অসম-প্রতিযোগিতায় বেসরকারি খাত কি বঞ্চিত হবে?
আবার, বেসরকারি বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪.৯%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করছে অর্থ বিভাগ। এতে বেসরকারিখাতে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এজন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহে ১৫% প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হচ্ছে।
সরকার নিজেই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিলে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো। আর এসব খাতের উদ্যোক্তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছেন সবচেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কোভিডের ধাক্কা সামলে শিল্প খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনা, সম্প্রসারণ, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির ব্যয় মেটাতে এখন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতে ঋণের সুযোগ কমে আসলে করোনা থেকে ব্যবসাবাণিজ্যের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ঋণে প্রক্রিয়াগত জটিলতা না থাকায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সব সময় সরকারকে ঋণ দিতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়লে এর প্রভাবে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, বর্তমানে আমানত প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। আগামী অর্থবছরও এটি ভালো হবে বলে মনে হয় না।
"মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণে মানুষের সঞ্চয় কমে যাচ্ছে, যা আগামী বছরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় নতুন অর্থবছরে সরকার এত বেশি ঋণ নিলে বেসরকারিখাতে 'ক্রাউড-আউট' পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে"- যোগ করেন তিনি।
তবে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব বলেন, টানা তিন বছর ধরে ১৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকলেও গত দুই বছর ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮-৯ শতাংশের মধ্যে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৮৭%। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ ও ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন।
টিবিএসকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। এ অবস্থায় কোনো খাতে নতুন বিনিয়োগ হবে না। দেশেও গ্যাসের রেশনিং শুরু হয়েছে, আগামীতে হয়তো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে কেউই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।
স্বল্প-সুদের ঋণ বাড়ছে না
বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ ঠিক রাখা ও সরকারের সুদ ব্যয় কমাতে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা কম সুদের বিদেশি ঋণ গ্রহণের উপর গুরুত্ব দিলেও; নতুন অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাড়ছে না।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,০৩,০৪৬ কোটি টাকা, এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষমাত্রার তুলনায় মাত্র ১.৮০% বেশি।
অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ পেলেও, বাস্তবায়ন সক্ষমতার অভাবে বিদেশি ঋণ খরচ করতে পারে না বাংলাদেশ। প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে বৈদেশিক ঋণের অংশ কমিয়ে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানোর চাহিদা আসে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষমাত্রা ছিল ১,০১,২২৬ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ৮০,২১২ কোটিতে নামানো হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, তাতে উচ্চ সুদের দেশি ঋণের বদলে কম সুদের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু বিদেশি ঋণ ব্যবহারে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাগুলোর কঠোর কড়াকড়ি ও বিদেশি ঋণ ব্যবহারে দক্ষতার ঘাটতির কারণে সে সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বেশি সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নিলেও সরকারের সুদ ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তাই, সরকারের উচিত হবে বেশি করে বিদেশি ঋণ নেওয়া।
কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, এডিপির আকার সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি বাড়লেও বিদেশি সহায়তা খাতে বাড়ছে মাত্র ৫ শতাংশ। এ অবস্থায় বিদেশি ঋণের ৫০ বিলিয়ন ডলারের পাইপলাইন থেকে বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার করে ব্যয় করতে পারলে বাজেটে চাপ কমবে।"
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন সভায় বলেন, সুদের হার বিবেচনা করলে এখনও বিদেশি ঋণ বেশি সাশ্রয়ী। তবে ঋণচুক্তি হওয়ার অনেক পরেও বেশ কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় না। এর ফলে সরকারকে 'কমিটমেন্ট ফি' দিতে হয়। আবার রেয়াতকাল শেষ হয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু হলেও, অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না।
তিনি বলেন, বিদেশি ঋণের ব্যবহার বাড়লে আরও বেশি প্রকল্প নেওয়া যাবে।