চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশা
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ায়, সার্বিক রপ্তানিতে বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো'র (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই পুরো অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। ফলে অর্থবছর শেষে পণ্য রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে বলে আশা করছেন রপ্তানিকারক ও ইপিবির কর্মকর্তারা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চলতি অর্থবছর পণ্য রপ্তানি ৭ বিলিয়ন ডলার বাড়ার আশা তাদের।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম টিবিএসকে বলেন, 'আগামী মাসগুলোতেও তৈরি পোশাক রপ্তানির এমন ধারা বজায় থাকবে বলে আশা করছি। সরকার আরএমজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ বিলিয়ন ডলার ঠিক করলেও আমরা আশা করছি তা ৪৩ বিলিয়ন ডলার ক্রস করবে।'
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ার পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'চীন ধীরে ধীরে পোশাক খাত থেকে বেরিয়ে আসতে থাকায় ওই বাজারের একটি অংশ বাংলাদেশ পাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের মূল রপ্তানি বাজারে পোশাকের চাহিদাও বাড়ছে, যা আমাদের রপ্তানি বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে।'
আরএমজি রপ্তানি আরো বেশি হারে বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসা সহজ করা হলে বিশেষত কাস্টমস সংক্রান্ত জটিলতা কমানো হলে এবং ব্যবসায়ের খরচ কমলে রপ্তানি আরো বাড়বে।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান টিবিএসকে বলেন, 'অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সাধারণত মে, জুন মাসে রপ্তানি কিছুটা কমে। তা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছর পণ্য রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করছি, যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলার।'
এর সঙ্গে সার্ভিস রপ্তানি আরো ৮ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হলে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ৫৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে আশাবাদী তিনি।