ইউক্রেনে রাশিয়ার লেজার অস্ত্র, পুড়িয়ে দেবে ড্রোন, সামরিক সরঞ্জাম
ইউক্রেনে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের মোকাবেলা করতে নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী লেজার অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। বুধবার (১৮ মে) মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি বোরিসভ বলেন, শক্তিশালী এই লেজার ইউক্রেনে পশ্চিমাদের দেওয়া ড্রোন পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মোকাবেলায় গোপন অস্ত্র মোতায়েনেও সহায়তা করছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পানির নিচের ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক ড্রোন, সুপারসনিক অস্ত্র ও একটি লেজার অস্ত্র উন্মোচন করেছিলেন।
এগুলোর মধ্যে একটির নাম 'পেরেসভেট' বলে উল্লেখ করেছিলেন পুতিন। মধ্যযুগীয় অর্থোডক্স যোদ্ধা ও সন্ন্যাসী আলেকজান্ডার পেরেসভেটের নামানুসারে রাখা হয়েছে ওই অস্ত্রের নাম। মধ্যযুগের এই সন্ন্যাসী যোদ্ধা ব্যাপক এক যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, নতুন লেজার অস্ত্রের বিশেষত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি খুব বেশি।
রাশিয়ার সামরিক উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-প্রধানমন্ত্রী বোরিসভ বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে মোতায়েন করা হয়েছে পেরেসভেট। পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপরে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেকোনো উপগ্রহের চোখ ফাঁকি দিতে পারে এই অস্ত্র।
তিনি বলেন, পেরেসভেটের চেয়েও আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে রাশিয়ার কাছে, যা ড্রোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম। মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৫ কিলোমিটার দূরে থাকা ড্রোন পুড়িয়ে ফেলার প্রযুক্তিও রাশিয়া ইতোমধ্যে ব্যবহার করেছে।
এই প্রযুক্তি ইউক্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বোরিসভ বলেন, "হ্যাঁ, প্রথম প্রোটোটাইপগুলো ইতোমধ্যেই সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্ত্রটির নাম 'জাদিরা'।"
এদিকে, রাশিয়ার নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ব্যবহারের খবরকে উপহাস করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার লেজার অস্ত্র ব্যবহারের দাবিকে তিনি তথাকথিত জার্মান নাৎসিদের 'ওয়ান্ডার উইপন' বা বিস্ময়কর অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয় ঠেকাতে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের দাবি করেছিল তারা।
- সূত্র: রয়টার্স