শূন্যের ছড়াছড়িতে বাংলাদেশের বিব্রতকর রেকর্ড
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬তম ওভারের খেলা চলছিল। শেষ দুই ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে তখন এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোর তৃতীয় ডেলিভারিতে উপড়ে যায় খালেদের স্টাম্প। এই উইকেট পতনে বিব্রতকর এক রেকর্ড নাম উঠে যায় বাংলাদেশের।
১০ উইকেটে হার মানা মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ৩ জন। এক টেস্টে ৯ জন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করতে পারেননি। এতে অস্বস্তির রেকর্ডে লেখা হয় বাংলাদেশের নাম।
টেস্টের ১৪৫ বছরের ইতিহাসে এক টেস্টে ৯ জন ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা আছে আর দুটি। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ৯ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। ১০ বছর পর, ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ জন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নেই।
প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন তামিম। দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো 'পেয়ার' পেলেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। অর্থাৎ, প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হলেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া বাংলাদেশের বাকি দুই ব্যাটসম্যান হলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও খালেদ আহমেদ। তামিমের মতো খালেদও কোনো ইনিংসে রান করতে পারেননি।
মিরপুর টেস্টের আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা ছিলো ২০১৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টে বাংলাদেশের ৮ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। দুই ইনিংসেই ২০০'র কম রান করা বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৬৬ রানে।
দুই দলের শূন্য মিলিয়েও মিরপুর টেস্টে রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশের ৯ জন ব্যাটসম্যান এবং শ্রীলঙ্কার দুজন শূন্য রানে আউট হন। সব মিলিয়ে ১১ শূন্যের রেকর্ড হয়। ২০১৮ সালে জ্যামাইকা টেস্টেও এমনই ছিল। বাংলাদেশের ৮ জন ও ক্যারিবীয়দের ৩ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। তবে টেস্ট ইতিহাসে আরও ১২টি ম্যাচে ১১ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানের আউট হওয়ার ঘটনা আছে।