পাচার করা অর্থ ফেরত আনার সুযোগে পাচারের প্রবণতা আরও বাড়বে: সিপিডি
বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরতের সুযোগ দিলে টাকা ফেরত আসার সম্ভাবনা কম, বরং পাচারের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে জাতীয় বাজেট নিয়ে পর্যালোচনাকালে সিপিডির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে সিপিডি'র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "বছরের পর বছর যে বিশেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাতে অর্থনৈতিকভাবে লাভ হয়নি। এবারও এই সুযোগের ফলে বিদেশ থেকে ফেরত আসার সম্ভাবনা কম। বরং এতদিন ধরে যারা টাকা পাচারের চিন্তা করেননি, তারা উৎসাহিত হবেন। তারা ভাববেন, এখানে সর্বোচ্চ কর দিতে যাবো কেন! যেহেতু ১৫% ট্যাক্স দিয়ে ফেরত আনা যাবে। অর্থাৎ তারা বরং টাকা পাচারে উৎসাহিত হবেন।"
তিনি বলেন, "এই সুযোগ নৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।"
এদিকে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "এই পদক্ষেপের ফলে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আসবে না। বরং সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন।"
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, "যারা ধনী এবং অবৈধভাবে টাকা নিয়ে গেছেন, এই বাজেটে তাদের জয় দেখা যাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তেমন কিছু আসেনি।"
বরং বাজেটে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে তেমন পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।