উদ্বোধনের অপেক্ষা: আবেগে উদ্বেল শিবচরের মানুষ
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সকাল থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের।আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলে একত্রিত হয়েছেন তারা।
দেশের দক্ষিণ প্রান্তের জেলাগুলো থেকে আসা সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে এবং তার ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার জন্য প্রস্তুত। বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হবে এই ভাষণ।
এই ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হতে শিবচর থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন আলিম কাজী। যতটা সম্ভব সমাবেশের মঞ্চের কাছাকাছি থাকার জন্য বেশ সকালেই এসেছেন পঁয়ষট্টি বছর বয়সী এই কৃষক।
তিনি বলেন, "আমি আজকে জনসভায় যোগ দিব বলে কাজে যাইনি। তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের মতো মানুষের জন্যই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।"
আলিম কাজীর মতো মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে সমাবেশ শুরুর অপেক্ষায় আছেন আবদুর রহমান।
৫১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য দিয়ার নাওডোবা এলাকায় তার দুই বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। এর ক্ষতিপূরণস্বরূপ দশ বছর আগে তাকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
আবদুর রহমান বলেন, "সেতুর জন্য আমাকে আমার জমি দিয়ে দিতে হয়েছে বলে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি খুশি যে এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে ২১ জেলার মানুষের ভোগান্তির অবসান হবে।"
বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে জনসভায় যোগ দিতে এসেছেন ২৪ বছর বয়সী যুবক মিরকাত শেখ।
তিনি বলেন, "সমাবেশে অংশ নিতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি।"
গতকাল বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট থেকে রওনা হয়ে অবশেষে সকাল ৮টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি।
"আমি একজন গ্রাম্য ডাক্তার, প্রায়ই ঢাকায় যাতায়াত করি। আগে রাজধানীতে পৌঁছাতে আমার অন্তত ৫-৭ ঘণ্টা লাগতো। কিন্তু এখন সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা।"
"এখন আমি একই দিনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে পারব," যোগ করেন উচ্ছ্বসিত মিরকাত শেখ।