পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংকের অভিনন্দন
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেছেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, "এই সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে।"
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাওয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুরুতে বিশ্বব্যাংক প্রাথমিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রাজি হলেও ২০১২ সালে প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন নাকচ করে দেয়।
তবে কানাডার একটি আদালতের রায় অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংকের করা সকল অভিযোগই ছিল মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
এরপর বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় শতভাগ অভ্যন্তরীণ অর্থায়নে সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি সংযুক্ত হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে দেশের জিডিপি ১.২ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতু নির্মাণের যাত্রা। এরমাঝে অসংখ্য বাধা-বিপত্তি ও বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে।
২০১৫ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর কথা থাকলেও বিদেশি সাহায্য বাতিল হওয়াসহ নদীর গভীরতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য জটিলতার কারণে কাজ শুরু করেত বিলম্ব হয়।