পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি চালকদের
মঙ্গলবার সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজার কাছে বিপুল সংখ্যক মোটরবাইক অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে সেতুতে এই দুই চাকার বাহনটির চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আজ সকালেও সেতুটি পার হওয়ার আশায় ছিলেন বাইকাররা।
গতকাল তো কেউ কেউ তাদের বাইক নিয়ে পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে সেতু পার হওয়ার আশ্রয় নেন। তাদের অভিযোগ ছিল, ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় তারা অন্য কোনও উপায়ে নদী পার হতে পারেনি।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহীদের সেতুতে উঠতে বাধা দেওয়ায় তাদের সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোটরসাইকেল চালক টিবিএসকে বলেন, "যারা আইন মেনে চলেন এবং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখেন, কর্তৃপক্ষের উচিত এমন বাইকারদের পদ্মা সেতু ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া। এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে।"
"শিমুলিয়া ঘাটে কোনো ফেরি চলে না। আমরা নদীর ওপারে থাকি। সেতু পার হতে না পারায় আমরা এখানে আটকে আছি। আমরা বাড়ি যেতে চাই।"
"অবিলম্বে মোটরসাইকেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই আমরা", যোগ করেন তিনি।
এদিকে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেতু) মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, "গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এখন সেতু দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে পার হচ্ছে। টোল প্লাজা এলাকার কাছে কোন যানজট নেই।"
"রবিবার সেতু খুলে দেওয়ার প্রথম দিনে যত যান সেতুতে ওঠে, তার প্রায় ৭০% ছিল মোটরবাইক।"
"এগুলো নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক", যোগ করেন তিনি।
সেতু পার হতে মোটরসাইকেল বহন করা পিক-আপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "পিক-আপে করে বাইক বহনে একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।"
তবে মোটরবাইকের যেকোনো বাণিজ্যিক চালান পার করানোর অনুমতি থাকবে।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল থেকে পদ্মা সেতু যান পারাপারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বাইকারদের দৌরাত্ম্য এবং বাইক দুর্ঘটনায় দু'জনের মৃত্যুর ঘটনায় সেদিন রাতেই সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পদ্মা সেতুর উপরে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।