প্রযুক্তি দক্ষতার প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে কোডার্সট্রাস্ট ও ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর চুক্তি স্বাক্ষর
প্রযুক্তি শিক্ষার বৈশ্বিক কোম্পানি কোডার্সট্রাস্ট ও জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষক ইউনিভার্সিটি ফর পিস (ইউপিস) বৈশ্বিক উন্নয়ন ও শান্তির জন্য দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
কোস্টারিকার স্যান জোসেতে ইউপিস-এর প্রধান ক্যাম্পাসে গত শনিবার (৩ জুন) এই অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অংশীদারিত্ব স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইউপিস-এর রেক্টর অধ্যাপক ফ্র্যান্সিককো রোজাস অ্যারাভেনা ও কোডার্সট্রাস্ট-এর চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ। এই অংশীদারিত্বের আওতায় ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল যুগে প্রয়োজনীয় অগ্রসরভিত্তিক প্রযুক্তি দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট। এছাড়াও থাকবে অ্যাকাডেমিক সহযোগিতার সম্পর্ক ও শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি।
ইউপিস-এর ভাইস রেক্টর ড. হুয়ান কার্লোস সেইনজ বোরগো, বিশেষ উপদেষ্টা মেলিসা মেনিস এবং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোডার্সট্রাস্ট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল হকসহ অন্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এসময় কোডার্সট্রাস্ট ও ইউপিসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, 'এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের মিশন ও ভিশনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।'
বাংলাদেশের তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী ও যুবশ্রেণিকে দক্ষতাভিত্তিক কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে অব্যাহত অবদান রাখার জন্য কোডার্সট্রাস্ট-এর প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেক্টর অধ্যাপক ফ্রান্সিসকো রোজাস আরাভেনা বলেন, যেকোনো উদ্ভাবনই হতে হবে শান্তির জন্য। নেক্সট জেনারেশন স্কিলস কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদ্ভাবনগুলো যাতে মানবতার শান্তি ও সম্মৃদ্ধিতে ব্যবহার করা সম্ভব হয় তার ওপর জোর দেন তিনি। প্রযুক্তি দক্ষতার প্রশিক্ষণে সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ও কর্মহীন নারী ও যুব শ্রেণির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় কোডার্সট্রাস্ট-এর প্রশংসা করেন অধ্যাপক আরাভেনা।
একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করার কথা উল্লেখ করে ইউপিস-এর রেক্টর বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি স্থায়ী।'
কোডার্সট্রাস্ট চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ বলেন, বৈশ্বিক শান্তি, শিক্ষা, কর্মসুযোগ ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এ ধরনের পারস্পরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রসরতা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ অবস্থায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডিজিটাল দক্ষতা জরুরি।
যুবশ্রেণির জন্য অগ্রসর প্রযুক্তি দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আজিজ আহমদ বলেন, 'এর মধ্য দিয়েই বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখা সম্ভব। দারিদ্র, অসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো যে বিষয়গুলো মানব নিরাপত্তা ও সুন্দর জীবন যাপনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে সেগুলোকেও দূর করতে পারে প্রযুক্তি দক্ষতা।'
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরপরই একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি ফর পিস। মানবাধিকার ও ডিজিটাল যুগে শান্তি বিনির্মাণ শীর্ষক ওই আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন কোডার্সট্রাস্ট ও ইউপিস-এর কর্মকর্তারা।