তথ্য অধিকার আইনের কার্যক্রম স্থবির, দ্রুত নতুন কমিশনার নিয়োগের দাবি
শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করায় তথ্য অধিকার আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম দ্রুত প্রধান তথ্য কমিশনার এবং অন্যান্য তথ্য কমিশনারগণকে নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত জুলাই-আগষ্ট মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমিতে সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য অধিকার আইনের মূল পরিচালন সংস্থা, তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের পদত্যাগ করেছেন।
ফলে বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের কার্যক্রম প্রায় তিনমাস ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ফোরাম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ফোরাম জানায়, এ অবস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যদি তথ্য প্রদানে অসম্মতি জানান বা দায়িত্বে অবহেলা করেন, তাহলে জনগণের জন্য কোনো প্রতিকার ব্যবস্থা থাকছে না।
'ফলে, জনগণের আবেদনকৃত অভিযোগগুলো শুনানি প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিরোধসমূহ অমীমাংসিত রয়ে যাচ্ছে। এসব পরিস্থিতিতে কোনো সমাধান পাচ্ছে না,' বলা হয় বিবৃতিতে।
তথ্য অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকারি প্রকল্প এবং স্থানীয় প্রশাসন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে এ আইনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
এ অবস্থায় তথ্য অধিকার ফোরাম মনে করছে, যদি তথ্য কমিশনে কমিশনারগণ দীর্ঘসময় নিযুক্ত না থাকেন, তবে এটি দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ আইনটির কার্যক্রমে ক্ষতি করতে পারে।
'এর ফলে তথ্যের অবাধ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং জনগণকে এ আইন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে,' বিবৃতিতে বলেছে তথ্য় অধিকার ফোরাম।
তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এটি দাবি করেছে, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৪(১) অনুযায়ী একটি পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করে তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনারগণের নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।
এ আইনটির মাধ্যমে জনগণ সরকারি এবং কিছু আধা-সরকারি সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।
এছাড়া, আইনটি দুর্নীতি রোধ, সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, সরকারি কাজে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের সঙ্গে সরকারের নৈকট্য স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।