পাওয়া গেল হাজার বছর পুরানো আব্বাসীয় আমলের বিপুল স্বর্ণমুদ্রা
ইসরায়েলের একটি প্রত্নতত্ত্ব খননস্থলে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ১১শ' বছরের পুরোনো শত শত স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার করেছে কিছু কিশোর। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার সময় তারা মাটির একটি ঘরাভর্তি এ ধনরাশি আবিষ্কার করে।
৪২৫টি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের মুদ্রাগুলি নবম শতকের। তৎকালীন বিশ্বের মহানতম সাম্রাজ্য আব্বসীয় আমলে চালু ছিল এ মুদ্রার লেনদেন।
ইসরায়েলের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাচীন মুদ্রা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কোয়েল বলেন, ''ওই আমলেও এ পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা ছিল – উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়; এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে ওই সময়ে মিশরের অতি-ধনীদের অঞ্চল বলে পরিচিত ফুসতাত নগরের সবচেয়ে অভিজাত মহল্লায় একটি বিলাসবহুল অট্টালিকা কেনা যেত।''
প্রত্নস্থানটির খনন কাজ পরিচালক লিয়াত নাদাভ-জিভ বলেন, ''১১শ' বছর পূর্বে যে ব্যক্তি এ গুপ্তধন পুঁতে রেখেছিলেন, নিশ্চয় তিনি আশা করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি তা উদ্ধার করতে পারবেন। পাত্রটিকে পেরেক মেরেও স্থির রাখার চেষ্টা করেন তিনি। যাতে ভূমিকম্প বা অন্য কোনো কারণে এটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে না যায়। ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তি তার অমূল্য সম্পদের কাছে ফিরে আসতে পারেননি, তা নিয়ে আমরা শুধু নানা অনুমানই করতে পারি।'' খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
এদিকে গুপ্তধনটি লুকিয়ে রাখার এলাকায় আব্বাসীয় খেলাফতের সময় দক্ষ কারিগর ও তাদের কর্মশালার অস্তিত্ব ছিল। তবে আসলেই কে এটির মালিক ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কোনো কারিগরও হতে পারেন বা হতে পারেন কোনো কর্মশালার মালিক। নিতান্তই জরুরি মুহূর্ত বা বিপদের শঙ্কা ছাড়া- এ বিপুল ধনরাশি লুকিয়ে রাখার কথাও নয়।
প্রাচীন মুদ্রার সন্ধান লাভ করা কিশোর স্বেচ্ছাসেবকদের একজন- ওজ কোহেন বলেন, ''আমি মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত খনন করি। তারপর মাটি তুলে ফেলার সময় শুকনো পাতার মতো একটা কিছু দেখতে পাই। এরপর আরো একটু ভালো করে নজর দিতেই চোখে পড়ে মাটির নিচে থাকা এসব স্বর্ণমুদ্রা। সুপ্রাচীন এবং অসাধারণ এ গুপ্তধন খুঁজে পেয়ে আমি দারুণ উত্তেজিত।''