হোম অফিস করে ক্লান্ত হলেও করোনার ভয়ে দপ্তরে ফিরতে চান না ভারতীয় কর্মীরা
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ঘরে থেকে দপ্তরের কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়ে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান-সহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীরাই তার সুফল ভগ করেছেন। তবে একইসঙ্গে, এটি কর্মীদের ভালো থাকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে দেখা যাচ্ছে।
পাশের দেশ ভারতের এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ইতোমধ্যেই গত ছয় মাস বাড়ি ধরে বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করার কারণে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব করছেন। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট ওয়ার্ক ট্রেন্ড ইনডেক্স শীর্ষক জরিপ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রায় আটটি দেশের ছয় হাজার কর্মীর উপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে মাইক্রোসফট জানায় 'এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯% ভারতীয় কর্মী ঘরে থেকে বেশি কাজ করার ফলে অবসন্নতায় ভোগার কথা জানিয়েছেন।'
এর আগে গত ২৫ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই ঘরে থেকে কাজের নিয়মটি বাধ্যতামূলকভাবে চালু করে সিংহভাগ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান।
দেশটির বেশিরভাগ স্থান এখন লকডাউনের আওতামুক্ত থাকলেও, বেশকিছু কোম্পানি এখনও তাদের কর্মীদের হোম অফিসের সুযোগ দিচ্ছে। সংক্রমণ রোধ এবং কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এ ছাড় দিচ্ছে তারা।
এ অবস্থায় কিছু দপ্তর খুললেও সেখানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে।
বাড়িতে অবস্থানকালে কাজের পরিবেশ আলাদা রাখার সমস্যা:
৪০% ভারতীয় কর্মী জানান, বাড়িতে থেকে কাজ করার সময় তারা ব্যক্তিগত জীবন এবং অফিসের কাজের মধ্যে খুব কম পার্থক্য অনুভব করছেন । মহামারিতে অনলাইনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করতে বাধ্য হওয়ার কারণেই তারা মানসিকভাবে ক্লান্তি অনুভব করছেন।
তাছাড়া, সহকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজের নতুন পরিবেশও তাদের স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্তত, ৩৫ শতাংশ ভারতীয় কর্মী তাদের এমন অনুভূতির কথা জানান।
এত চাপের পরও অবশ্য অনেক ভারতীয় অফিসে ফিরতে চাইছেন না। তার অবশ্য যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ভারতে চলছে করোনার মারাত্মক সংক্রমণ। বিশ্বের দুই নম্বর স্থানে উঠে এসেছে দেশটি আক্রান্তের সংখ্যায়। ৭০ লাখের বেশি আক্রান্তের দেশে ইতোমধ্যেই প্রাণহানি এক লাখ ছাড়িয়েছে।
এ অবস্থায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় কর্মী জানিয়েছেন, অফিসে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে তারা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয় পাচ্ছেন।
- সূত্র: স্ক্রল ডটইন