৪৬ হাজার বছর পুরোনো পাখির সন্ধান
শেষ বরফ যুগে উত্তর গোলার্ধে বসবাস করত হর্নড লার্ক পাখির এক পূর্বপুরুষ। চড়ুই পাখির চেয়ে আকৃতিতে বড় হলেও দেখতে ছিল অনেকটা একই রকম। আর পাখিটির মাথার দুই পাশে শিং আকৃতির পেঁচানো পালকের জন্যেই এর হর্নড লার্ক নামকরণ।
সম্প্রতি এই প্রজাতির প্রায় অক্ষত এক নমুনা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৪৬ হাজার বছরের পুরোনো এই দেহাবশেষ আবিষ্কার করেছিল প্রাচীন ম্যামথের বিশালাকৃতির গজদন্ত অনুসন্ধানী একটি দল। উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়ার বেলায়া গোরা গ্রামের কাছে প্রাচীন পাখিটির দেহাবশেষ উদ্ধারের পর তারা সেটি সুইডিশ মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরির বিশেষজ্ঞদের কাছে বিক্রি করে দেন।
এরপর সুইডিশ বিজ্ঞানী নিকোলাস ডুসেক্স এবং লাভ ড্যালেন রেডিওকার্বন ডেটিং পরীক্ষার মাধ্যমে এর আসল বয়স নির্ধারণ করতে সক্ষম হন। শুক্রবার জার্নাল কমিউনিকেশনস বায়োলজিতে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তারা এই বিষয়ে প্রথম বিশ্ববাসীকে জানান। খবর সিএনএনের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে হর্নড লার্ক পাখির দুটি উপ-প্রজাতি দেখা যায়। এদের একটির বসবাস উত্তর সাইবেরিয়ায়; অপরটি মঙ্গোলিয়ার স্তেপ অঞ্চলের বাসিন্দা। সাইবেরিয়ার বরফ জমা একটি লেকের কাদার স্তরে পাখিটির দেহাবশেষ এতদিন ভালোভাবেই সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পার্মাফ্রস্ট গলার কারণেই এটি বেড়িয়ে আসে।
এই ব্যাপারে নিকোলাস ডুসেক্স বলেন, আমরা এখন পাখিটির পূর্ণাঙ্গ জিন সিকোয়েন্স তৈরির কাজ করছি। এর মাধ্যমে বর্তমানে যে দুটি উপ-প্রজাতি রয়েছে তাদের সঙ্গে এটির সম্পর্ক খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। খুব সম্ভবত বিবর্তনের কোনো এক পর্যায়ে আদি লার্ক প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। গবেষণার মাধ্যমে তাদের বিলুপ্তির কারণও উন্মোচিত হবে।