জলদানব ‘নেসি’র খোঁজে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুসন্ধান চালানোর তোড়জোড়
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/08/06/nessie.jpg)
স্কটল্যান্ডের লক নেস হ্রদের রহস্যময় জলদানবের খোঁজে ব্যাপক পরিসরে অনুসন্ধান শুরু হচ্ছে। ১৯৭০-এর দশকের পর এটিই হবে এ দানবএর সন্ধানের চালানো সবচেয়ে বড় অনুসন্ধান।
এই অনুসন্ধানে হ্রদের ওপর ওড়ানো হবে ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন। আর পানির তলের শব্দ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হবে হাইড্রোফোন।
আয়োজকরা জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকরা স্থলে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে এই জলদানোর চিহ্ন খুঁজবেন।
আগামী ২৬ ও ২৭ আগস্ট চালানো হবে এই অনুসন্ধান।
লক নেস সেন্টার ও লক নেস এক্সপ্লোরেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল এই অনুসন্ধানের আয়োজন করেছে। তারা বলছে, ১৯৭২ সালের পর এটিই হবে লক নেস হ্রদের জলদানোর খোঁজে চালানো সবচেয়ে বড় অনুসন্ধান।
১৯৭২ সালে ওই অনুসন্ধান চালিয়েছিল লক নেস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো। ১৯৬০-এর দশকে পানিতে বিশালাকার দানব খুঁজে বের করতে এই ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয়।
স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের এক হ্রদের হচ্ছে লক নেস। জনশ্রুতি আছে, এই হ্রদে এক জলদানবের বাস আছে। বিভিন্ন অনেকেই তাকে দেখেছে বলে দাবি কররেছে, যদিও প্রাণীটির অস্তিত্ব সম্বন্ধে এখনও নিরেট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নেস হ্রদের এই দানবকে 'নেসি' নামেও ডাকা হয়, যার অর্থ 'পবিত্র'। এই জলদানবের কিংবদন্তির সূত্রপাত সেই মধ্যযুগে। ওই সময় প্রথম বলা হয়, আইরিশ সন্ন্যাসী সেইন্ট কলাম্বিয়া লক নেসে এক রহস্যময় প্রাণীর দেখা পেয়েছেন।
আধুনিক সময়ে ১৯৩০-এর দশক থেকে জলদানো নেসিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় বিপুল উদ্যমে। ১৯৩৩ সালে একজন হোটেল ম্যানেজার বলেন, তিনি লকের পানিতে তিমির মতো দেখতে একটি প্রাণীকে জলকেলি করতে দেখেছেন। এরপর নানা সময়ে অনেকবার এ দানবকে খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর উপস্থিতির নিরেট প্রমাণ মেলেনি।
২০১৯ সালে বিজ্ঞানীরা বলেন, কিংবদন্তির লক নেসের দানো সম্ভবত দানবাকার কোনো 'ইল' মাছ হতে পারে। অনেক বছর পরে তিনি এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি পানিতে 'কালো, ভেজা কিছু একটাকে' বৃত্তাকারে ঘুরতে দেখেছিলেন।