পুরুষকে ‘টেকো’ বলা যৌন হয়রানি বলে গণ্য হবে: আদালত
এখন থেকে কোনো পুরুষকে টেকো বলে ডাকলে একে যৌন হয়রানির পর্যায়ে ফেলা যাবে বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।
সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির রায়ে ১৯৯৫ সালের একটি মামলার ভিত্তিতে ব্রিটেনের ওই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বলে, টাক নিয়ে রসিকতা করার মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে।
টনি ফিন নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কর্মচারী নিয়োগ ট্রাইব্যুনাল।
জানা যায়, টনি দীর্ঘ ২৪ বছর পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের মে মাসে হুট করেই তাকে ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত এই ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন টনি। মামলার অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে তিনি দাবি করেন, কথা কাটাকাটির সময় তাকে বেশ কয়েকবার 'টেকো' বলে গাল দেন ওই কারখানার সুপারভাইজার জেমি কিং। সেইসঙ্গে তাকে হুমকিও দেন জেমি।
নিজের চেয়ে ৩০ বছরের ছোট সুপারভাইজারের এরকম মন্তব্যে নিজেকে 'অনিরাপদ' ও অপমানিত বোধ করছিলেন বলে জানান টনি। এর প্রতিকার পাওয়ার জন্যই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেন, জেমি কিং ওসব গাল দিয়েছিলেন টনি ফিনকে অপমানিত করতে এবং তার জন্য ভীতিকর, প্রতিকূল, অপমানজনক বা আপত্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে।
বিচারকেরা আরও বলেন, টাক পড়ার সমস্যা যেহেতু নারীদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, তাই কোনো পুরুষের টাক নিয়ে কটূক্তি বা রসিকতা করার মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য। পুরুষদের টাক সমস্যা আর নারীদের স্তনের আকার নিয়ে কটূক্তি করা একই ধরনের অপরাধ বলে মত দেন বিচারকরা।
টনিকে টেকো বলে গাল দেওয়ায় জেমি কিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে তার সাজা ঘোষণা করা হয়নি। তার সাজা ঘোষণার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বিচারকেরা।
- সূত্র: সিএনবিসি