অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য নতুন নীতিমালা
বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের নগদ জমা অনুপাত (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল অনুপাত (এসএলআর) সংরক্ষণের নীতিমালা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রচলিত ব্যাংকের মতো এসব ইউনিটকেও সাড়ে ৫ শতাংশ হারে নগদ এবং বিভিন্ন উপাদানের বিপরীতে ১৩ শতাংশ হারে রাখতে হবে। ব্যাংকগুলো চাইলে বৈদেশিক বা স্থানীয় মুদ্রায় তা সংরক্ষণ করতে পারবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এ বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৮৫ সাল থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতদিন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম চললেও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নীতিমালায় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের মতো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটকেও সিআরআর, এসএলআর সংরক্ষণসহ কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন গন্ডি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এখন সিআরআর-এসএলআর রাখার উপায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলো।
সোমবারের সার্কুলারে বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি বছরের ১ জুলাইর মেয়াদি ও চলতি দায়ের ওপর ভিত্তি করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে হবে। আর এ সংক্রান্ত রিপোর্ট করতে হবে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে। তবে কোন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি ও মেয়াদি দায় কতো সে বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিংয়ের মেয়াদি ও চলতি দায় হিসাবের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আমানত, দেশের বাইরে অবস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া আমানত এবং ঋণ, পরিশোধযোগ্য অন্য দায় বিবেচনায় নিতে হবে। টাকায় বা বৈদেশিক মুদ্রায় যা সংরক্ষণ করা যাবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিত এফসি হিসাবের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রাখা যাবে। বাকি শুন্য দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে হবে টাকায়। আর এসএলআর হিসাবের ক্ষেত্রে ‘নস্ট্রো’ অ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থও বিবেচনায় নেওয়া যাবে।
সর্বশেষ হিসাবে (মার্চ পর্যন্ত) দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট ৬০ হাজার ১৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৬২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা খেলাপি হয়ে গেছে।