ইলেকট্রনিক পণ্যের ঘোষণায় দুবাই থেকে এলো গুঁড়ো দুধ
দুবাই থেকে সমুদ্র পথে ২ মেট্রিক টন ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানির ঘোষণা দেয় ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ট্রেডিং। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য চালানটি পরীক্ষা করে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পরিবর্তে সাড়ে ৮ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে পণ্য চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশণ এন্ড রিসার্স (এআইআর) ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ঢাকার আমদানিকারক প্রাইম ট্রেডিং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই হতে ইলেকট্রনিক পণ্য ঘোষণায় ২ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করেন। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যসমূহ কন্টেইনার থেকে নামিয়ে বন্দরের ১২ নং শেডে সংরক্ষণ করা হয়। পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারক কর্তৃক চট্টগ্রামের সিএন্ডএফ এজেন্ট কুলগাঁও ট্রেডার্স লিমিটেডকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
পণ্য চালানটি খালাস নিতে সিএন্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্য পরীক্ষা করতে গেলে পণ্য খালাসে নিয়োজিত আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিনিধি শেডে সংরক্ষিত অপর একটি ইলেকট্রনিক পণ্য পরীক্ষা করান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইলেকট্রনিক পণ্যের বিপরীতে আড়াই লক্ষ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে ২ টি কাভার্ড ভ্যানে পণ্য বোঝাই করে খালাসের চেষ্টা করা হলে কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ টিম (এআইআর) কর্তৃক গাড়ীগুলো আটক করা হয়। পরবর্তীতে এআইআর কর্তৃক পণ্য পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক পণ্যের পরিবর্তে প্রায় সাড়ে আট মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ পাওয়া যায় যার আনুমানিক শুল্ক-কর আটাশ লক্ষ টাকা। অথচ চালানটি খালাস নিতে আড়াই লক্ষ টাকা শুল্ক কর পরিশোধ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গুঁড়ো দুধ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি অনুযায়ী মোড়কের গায়ে 'মায়ের দুধের বিকল্প নেই' উল্লেখ থাকতে হবে এবং বিএসটিআই এর মাধ্যমে খাবার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি শর্তই পূরণ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কিনা এবং কোন কোন সংস্থার লোক জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।