ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানি, ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য নিয়ে আসার অপরাধে একটি পণ্য চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
চীন থেকে আসা ওই চালানটিতে ময়মনসিংহের আমদানিকারক লিউ ফ্যাশন লি: ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্স) ইউনিটের কর্মকর্তারা শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটিতে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আমদানির প্রমাণ পায়। এরপর চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) নুর উদ্দিন মিলন বলেন, চীন থেকে আনা আমদানিকারক লিউ ফ্যাশন লি: এর পণ্য চালানটি খালাস নিতে সিএন্ডএফ এজেন্ট এএফটি লজিস্টিকস লিমিটেড গত ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। এতে ২০ হাজার ৫৫০ কেজি ১০০% পলিস্টার ফ্রেবিক্স আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
“চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য থাকার বিষয়টি নজরে আসায় এআইআর শাখা থেকে খালাস ব্লক করা হয়। এরপর বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিএন্ডএফ এজেন্ট এর উপস্থিতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর দেখা যায় চালনটিতে ঘোষণা অনুযায়ী ৫ টন পলিষ্টার ফ্রেবিক্স পাওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, “এছাড়া ঘোষণার বাইরে ২১ টন পলিষ্টার (বোরকার) কাপড় পাওয়া যায়। চালানটিতে আমদানিকারক ৪৮ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কাস্টম আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।”
এ বিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট এএফটি লজিস্টিকস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খসরুল আলম খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “চালানে কি পণ্য থাকে সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে আমাদের জানার সুযোগ কম থাকে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চালান খালাস নিতে কাস্টম হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছে। ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনার দায় আমদানিকারকের।”
আমদানিকারক লিউ ফ্যাশন এর পরিচালক শামীম খান বলেন, “চালানটিতে আমরা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেইনি। চীনের রপ্তানিকারক ভুল শিপমেন্ট করেছে। ঘোষণা বর্হিভূত পণ্যগুলো আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে আসবেনা।”
এছাড়া বুধবার (২৭ নভেম্বর) অন্য একটি চালানে ঢাকার আমদানিকারক স্টার অ্যালাইন্স কিডনি বিনস এবং সুইট কর্ণ আমদানির ঘোষণা নিয়ে চকলেট, এনার্জি ড্রিংস, ওয়েফার নিয়ে আসে। ওই চালানটিতে ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে স্টার অ্যালাইন্স।