চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ৩৫টি গাড়িসহ নিলামে উঠেছ ৭৫ লট পণ্য
দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিলামে উঠছে ৩৫ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি সহ ৭৫ লট পণ্য।
নিলামে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা ৭১ পয়সা মূল্যের টয়োটা মাইক্রোবাস, ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা ৫৩ পয়সা মূল্যের নিশান মাইক্রোবাস, ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪ পয়সা মূল্যের টয়োটা কেআর-৪২ মডেলের জাপানি গাড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ী রয়েছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৯৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমানি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানিকৃত যেসব গাড়ি আমদানিকারকরা খালাস নেয়নি ৩৫ টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে কার, মাইক্রেবাস, হাইস, ড্রাম ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ৩৫ টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পুরাতন অকশন গোলা থেকে পণ্য সরানোর লক্ষ্যে সেখানে থাকা পণ্যগুলোকে নিলামে এবার বেশি প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। পুরাতন গোলাটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স'কে এম করপোরেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ টিবিএসকে বলেন, নিলামে অন্যান্য পণ্যের রয়েছে সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ড্রাগন ফল, ব্রেব্রিক্স পণ্য, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, থান কাপড়, জিংক অক্সাইড, আউটডোর ওয়াল টাইলস, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য, জেন্টস আন্ডারওয়্যার, পেপার ট্যাগ, প্লাস্টিক ফিতা, ওয়েস্ট বেল্ট, পেইন্টিং পণ্য ফ্লাড লাইট, ল্যাবরেটরি সাপলাইস, হ্যান্ড গ্লোভস, ফ্লোর ম্যাট, এলুমিনিয়াম পাউডার, কটন ড্রকর্ড, এমপিইটি ফিল্ম, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, পুস্তক মোটরসাইকেল টায়ার কসমেটিক্স পণ্য, ডিপ লাইনার, আই লাইনার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, মেশিনারি পণ্য, পিভিসি মেশিন, ডায়নামিক ব্যালেন্সিং মেশিন, খালি ড্রাম, ওয়্যার রোপ, চেইন ক্যাবল, ইলেকট্রিক স্ট্যান্ড ফ্যান, বয়লার পণ্য, শার্ট ফেব্রিক্স, উল ফেব্রিক্স, আমব্রেলা ফেব্রিক্স, ওয়াল ফ্যান, ব্লক ও ব্লেড পণ্য, কম্বল, জিংক শিট।
চট্টগ্রাম কাস্টম সুত্র জানায়, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ২শ টাকা দরে ক্যাটালগ ও ১শ টাকা দরে দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয়যোগ্য পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা।
প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা হয়। নিয়মনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।