বাগেরহাটে দেড় বছরে মৎস্যচাষিদের ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি
দেড় বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাগেরহাটের মৎস্যচাষিদের ৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তর। সভায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্যের পাশাপাশি ইতিবাচক তথ্যও দিয়েছে সংস্থাটি। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাগেরহাটে এক লাখ ২১ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যা খুলনা বিভাগের মোট উৎপাদিত মাছের ১৭ শতাংশ। এছাড়াও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে।
২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয় মৎস্যচাষিদের। আম্পানের পাঁচ মাস পড়ে অক্টোবরে অতিবৃষ্টিতে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয় চাষিদের। ২০২১ সাল শুরুই হয় চাষিদের ক্ষতির মধ্য দিয়ে। এই বছরের মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বাগেরহাটের মৎস্যচাষিদের। জুলাই-আগস্টে দুই দফায় অতিবৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারে ৩৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে দেড় বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাগেরহাটের মৎস্যচাষিদের ৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাগেরহাটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাগেরহাটে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ চাষ বিষয়ক নানা সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা ও সমস্যার সামাধানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.এস.এম রাসেল, বাগেরহাট সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকি তালুকদার, সহ-সভাপতি নকিব সিরাজুল হক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, সাংবাদিক আহসানুল করিম, আলী আকবর টুটুল, আজাদুল হক, ইয়ামিন আলী, অলিপ ঘটক, এস.এস শোহান প্রমুখ।