২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ঋণের এক চতুর্থাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে বিতরণ করতে হবে। প্রতিবছর ১ শতাংশ করে বাড়িয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (সিএমএসএমই) নিট ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব খাতে ১৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা ঋণের সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ক্ষুদ্র উদ্যাক্তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও গ্রুপ গ্যারান্টিকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা মাস্টার সার্কুলারে।
সিএমএসএমই অর্থায়ন নিয়ে এ পর্যন্ত জারি করা নির্দেশনাসমূহ একীভূত করে সার্কুলারটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ।
এতে এ খাতের চারটি উপখাতের সংজ্ঞা, ঋণসীমা ও অগ্রাধিকার তুলে ধরে বলা হয়েছে, কুটির শিল্প সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ঋণ পাবে। মাইক্রো উপখাতে উৎপাদনশীল শিল্প সর্বোচ্চ ১ কোটি, সেবা শিল্প ৫০ লাখ ও ব্যবসা খাত ২০ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
ক্ষুদ্র উপখাতে উৎপাদনশীল শিল্প সর্বোচ্চ ২০ কোটি এবং সেবা ও ব্যবসা খাত ৫ কোটি টাকা করে ঋণ পাবে। আর মাঝারি উপখাতের উৎপাদনশীল শিল্প ৭৫ কোটি ও সেবা শিল্প ৫০ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
সিএমএসএমই ঋণের প্রসারে ক্ষুদ্র উদ্যাক্তাদের জামানতের বিষয়টিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষে আগের কোন প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মূল্যায়নের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা যেতে পারে।
নারী উদ্যোগ, অগ্রাধিকার খাত, ঋণ আবেদন ও মঞ্জুর প্রক্রিয়া এবং পুনঃঅর্থায়ন স্কিম নিয়েও নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে সিএমএসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে।