জুলাইতে এডিপির ব্যয় মোট বরাদ্দের ১ শতাংশেরও কম
অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) বরাদ্দের মাত্র ২৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে; যা মোট বরাদ্দের ০.৯৬ শতাংশ।
এর আগের দুই অর্থবছরে এ হার ছিল যথাক্রমে ১.১৪ এবং ১.৫২ শতাংশ। বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে সরকার এডিবি-কে বরাদ্দ দিয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।
আইএমইডি ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এমনিতে বছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়। কারণ এই সময়ে বছরব্যাপী ব্যয় পরিকল্পনা কর তেই সময় চলে যায় । এর বাইরে সরকারের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যয় কমানোর কৌশল নেওয়ায় চলতি অর্থবছরের শুরুতে এডিপি বাস্তবায়ন খাতে ব্যয় অন্যান্য অর্থবছরের চেয়ে কম হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারের ব্যয় কমানোর নির্দেশনার কারণে অর্থবছর শেষেও এডিপি বাস্তবায়ন হার অন্যান্য অর্থবছরের চেয়ে কম হবে।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব বিবেচনায় এ, বি এবং সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। এখনই ব্যয় না করলে তেমন সমস্যা হবে না এমন প্রকল্পগুলোকে রাখা হয়েছে সি ক্যাটাগরিতে। এসব প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
বি ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো বরাদ্দে ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। ফলে এসব প্রকল্পের ২৫ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হবে না।
শুরুত্ব বিবেচনায় এ ক্যাটাগরির প্রকল্পে শতভাগ অর্থই ছাড় করবে সরকার। বৈদেশিক অর্থায়নের সব প্রকল্প রাখা হয়েছে এ ক্যাটাগরিতে।
এর ফলে জুলাইতে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ১.০৬ শতাংশ। অন্যদিকে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ০.৮৯ শতাংশ অর্থ।
৩৬ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জুলাই মাসে বৈদেশিক ঋণের বরাদ্দের এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। অন্যদিকে ১৩ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সরকারি তহবিলের বরাদ্দ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।
এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে মাত্র দুটি ১ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে। এগুলো হলো বিদ্যুৎ বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়।
জুলাই মাসে খরচের খাতা খুলেনি এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।