সারাদেশে ভর্তুকি মূল্যে চাল-আটা বিক্রি শুরু
উচ্চমূল্যের কারণে চাল ও আটা কিনতে সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন সরকার সারাদেশে খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) মাধ্যমে ৩০ টাকা করে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করলো। সারাদেশে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর কার্ডধারী এবং নিম্ন আয়ের যাদের কার্ড নেই তারাও একই দামে চাল ও আটা কিনতে পারছেন। খাদ্য অধিদপ্তর সারাদেশে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
একই সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হিসেবে ৫০.১০ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল প্রদান শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল মাসে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৫ মাসে সরকারের ৭৫১,৫৭৫ টন চালের দরকার পড়বে।
হিলি স্থলবন্দরের হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে চাল কিনতে আসা আল মামুন বলেন, 'বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোন চাল নেই। একদিকে আয় কম, অন্যদিকে বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এই অবস্থায় ৩০ টাকায় চাল পাওয়া কিছুটা স্বস্তির।'
সারাদেশেই বিভিন্ন জেলার প্রশাসকরা নিজ নিজ জেলায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। টিবিএসের দিনাজপুর, হিলি, নোয়াখালি, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা জেলাগুলোতে এই কার্যক্রম শুরুর কথা জানান।
জানা গেছে, ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্র বা ট্রাক থেকে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে আটা কিনতে পারছেন। অন্যদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে একেক পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ২৩৬৩টি বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি করা হয়েছে। যেখানে ১৯৬০টি বিক্রয়কেন্দ্রে শুধুমাত্র চাল এবং ৪০৩টি বিক্রয়কেন্দ্রে চাল ও আটা বিক্রি করা হয়েছে। ৪০৩টি কেন্দ্রে ০.৫ মেট্রিক টন হারে আটার দৈনিক বরাদ্দ ২০১.৫ মেট্রিক টন।