গত অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২%: বিএফআইইউ
কোভিড পরবর্তী সময়ে আর্থিক খাতে নগদ টাকার লেনদেন বৃদ্ধি ও বিএফআইইউ এর তৎপরতা বাড়ার কারণে বিদায়ী অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (এসটিআর) এবং সন্দেজনক কার্যক্রম রিপোর্ট (এসএআর) বেড়েছে ৬২ শতাংশ।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, "২০২১-২২ অর্থবছরে রিপোর্টিং এজেন্সি থেকে বিএফআইইউ মোট ৮,৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট (এসএআর) পেয়েছে"।
আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে এসটিআর ও এসএআর ছিল ৫,২৮০টি।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর বিএফআইইউ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় এমন প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়।
এ চুক্তির জন্য ৩ মাস সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য প্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের জন্য এই চুক্তি করতে যাচ্ছে বিএফআইইউ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং ও চীনের সঙ্গে হবে এ চুক্তি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রস্তাবিত রিসার্চ সেলে লোকবল পদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেন হাইকোর্ট। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সুইস ব্যাংকের অর্থ সংক্রান্ত তথ্য আদালতে দাখিল করায়, এর ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে তলব করা হয়।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকা ৬৭ বাংলাদেশির অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র ১ জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক।
পরে বিএফআইইউয়ের কাছে চাওয়া প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করেন হাইকোর্ট।