মানসম্মত জীবনযাপনে যা দরকার- তার চেয়ে অর্ধেক আয় করেন পোশাক শ্রমিকরা: সানেম
খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে যতটা প্রয়োজন– তার চেয়ে অর্ধেক আয় করেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরা। ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে তারা মাসে গড়ে ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা আয় করেছেন।
এসময় তাদের 'লিভিং ওয়েজ' বা মোটামুটি মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য যে আয় দরকার তা বসবাসের এলাকাভেদে ছিল- ১৯ থেকে ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রকৃত আয় ও ন্যুনতম চাহিদা পূরণে দরকারি অর্থচাহিদার মধ্যে পার্থক্য ছিল ৫১-৬০ শতাংশ।
এসব তথ্য উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং (সানেম) এর এক প্রতিবেদনে। 'লিভিং ওয়েজ, লিভিং প্লানেট: সেপ্টেম্বর ২০২২ আপডেট' শীর্ষক প্রতিবেদনটি আজ রোববার (১ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক অলাভজঙ্ক সংস্থা- মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচ্যুনিটিস- এর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের এক গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছে সানেম। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, 'আয়ের এই ঘাটতি পুরণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আরো বেশি করে ওভারটাইম ও এবং অতিরিক্ত সময় (বৈধ কর্মঘণ্টার চেয়েও বেশি সময়) কাজের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে'। যেমন ২০২২ সালের জুনে শ্রমিকরা গড়ে ২৯০ ঘণ্টা কাজ করার কথা জানান।
গবেষণায় বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি শিল্পাঞ্চল– ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের ১,৩০০ গার্মেন্টস শ্রমিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 'গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়ারিজ' প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের এপ্রিল থেকেই তাদের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে।