পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমাতে নীতি সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা
মুরগি ও ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পোল্ট্রি খাবার উৎপাদনে নীতি সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ ও শুল্ক কাঠামো পর্যালোচনা করে কী ধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিটিটিসি পর্যালোচনা করে যে প্রতিবেদন দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দেবে বিটিটিসি।
সূত্র জানায়, সভায় মুরগি ও ডিমের দামের বিষয়ে পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হয়। তাতে দেখা গেছে উৎপাদন পর্যায়ে পণ্যগুলোর দামে কোন সমস্যা নেই। পোল্ট্রি খাবারের দাম কমানো গেলে এসব পণ্যের দামও কমে আসবে। এজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে পোল্ট্রি খাবারের দাম কমিয়ে আনার জন্য কী কী করা যায় তার পর্যালোচনা করতে হবে। এজন্য বিটিটিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি হঠাৎ করেই ডিমের দাম বেড়েছে। গত কয়েকদিনে বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি এই দাম কমে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় নেমেছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ১২.৫০%। একইভাবে ব্রয়লার মুরগির দামও এক মাসের ব্যবধানে সমপরিমাণ বেড়েছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পোল্ট্রি খামারগুলোর প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.৫০ টাকা এবং খুচরা বাজারে একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত না। আবার বাজারে স্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনে ডিম আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব ঘোষণার পর দাম কিছুটা কমেছে।
সভায় উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মুরগি ও ডিমের বাইরে সভায় আলু, পেঁয়াজ, রসুন, লবণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কৃষি মন্ত্রণালয় দাবি করছে দেশে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের উৎপাদন বেড়েছে। আবার শিল্প মন্ত্রণালয় দাবি করছে লবণের উৎপাদনও বেড়েছে। কিন্তু বাজারে এসব পণ্যের দামও বেড়েছে।
এজন্য স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পরেও কেন দাম বাড়ছে তা পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলো উৎপাদন সংক্রান্ত যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক আছে কি না সেটি যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদনের তথ্য সঠিক থাকলে বাজারে কোথায় কী কারণে দাম বাড়ছে তা দেখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পণ্য আমদানির উদ্যোগে যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সায় না পাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।